শেরপুরের নকলায় হামিদা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধা মাকে নির্মম ভাবে মারধর করায় শেরপুর আদালতে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে ও সুষ্ঠ বিচার কামনায় সংবাদ সম্মেলন করার অপরাধে বাড়িঘড়ে হামলা, লুটপাট ও ৫মাসের অন্তসত্বা বোনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, নকলা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কলাপাড়া এলাকায় এক বৃদ্ধা অসহায় মাকে ভিটাবাড়ি ছাড়াতে মাঝেমধ্যেই মারধর করেন তার সৎ ছেলে মাদ্রাসার শিক্ষক হারুন অর রশিদ, তার স্ত্রী রহিমা বেগম ও ছেলে মামুনুর রশিদ ওরফে রাসেল।
বৃদ্ধা মাকে নির্মম ভাবে মারধর করাসহ মায়ের একমাত্র সম্বল সামান্য বসতভিটার জমি অন্যায় ভাবে জবর দখলের উদ্দেশ্যে বার বার হামলা থেকে বাঁচতে ছেলেসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে শেরপুর সিআর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ওই বৃদ্ধা মা হামিদা বেগম। মামলা নং সি.আর ১৮৫/২০২১। তাছাড়া সুষ্ঠ বিচার কামনায় মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগী ওই মা ও তার পরিবারের অন্যান্যরা।
আদালতে করা মামলা তুলে নিতে ও সংবাদ সম্মেলন করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আবারো বৃদ্ধ মা ও তার সন্তানদের ওপরে হামলা ও বাড়িঘড়ে ভাংচুর-লুটপাট করে হারুন রশিদ গংরা। এসময় বৃদ্ধা মাকে অন্যের ঘরে লুকিয়ে রেখে পরিবারের সবাই দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও, অসুস্থ মাকে দেখতে আসা ৫মাসের অন্তসত্বা মেয়ে খাদিজা বেগম (৩০) পালাতে পারেনি। হারুন রশিদ গংরা এ অন্তসত্বা নারীর ওপর চড়াও হয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে নকলা থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান বৃদ্ধা ওই মায়ের ছোট ছেলে হিরা মানিক। মানিক মিয়া জানান, কয়েকদিন আগে আমার মা বৃদ্ধা হামিদা বেগমকে হারুন গংরা মারপিট করার সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। আজ বৃহস্পতিবার আবার আমাদের বাড়ি ঘরসহ মায়ের ওপর হামলা চালালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে তাৎক্ষণিক নকলা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল করেন।
হামিদা বেগমের ছোট ছেলে হিরা মানিক বলেন, যেকোন সময় আমার বৃদ্ধা মাসহ আমাদের উপর হারুন অর রশিদ গংরা হামলা করতে পারে। তারা সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।