শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ মাসের ব্যাবধানে আবারো অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌণে ৮টার দিকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের পাশে ছাদের সিড়ির কক্ষে রাখা বিছানার পুরাতন ফোম, পরিত্যক্ত কাগজপত্রাধি, নষ্ট আসবাবপত্র, কাগজের কার্টুনের মধ্যে আগুন লাগে। আগুনের ভয়ে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের রুগিদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে, রুগিরা দৌঁড়ে নিচে নেমে আসে।
বহিরাগত কেউ বা রোগি বা রোগির আত্মীয় স্বজনরা গোপনে ধুমপান করে আগুনসহ সিগারেট-বিড়ির অবশিষ্ঠ অংশ পুরাতন ফোম, পরিত্যক্ত কাগজপত্রাধি, নষ্ট আসবাবপত্র, কাগজের কার্টুনের মধ্যে ফেলে চলে যায় এবং এ থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন।
আগুন লাগার সাথে সাথে নকলা থানায় ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরে ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন বলেন, নকলা হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের টিম নিয়ে আধা ঘন্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছি। ততক্ষণে পুলিশ, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
নকলা উপজেলায় স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বেশ কিছু বিছানার পুরাতন ফোম, পরিত্যক্ত কাগজপত্রাধি, নষ্ট আসবাবপত্র, কাগজের কার্টুন পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, ইদানিং বহিরাগত কিছু ছিচকে চোর ও নেশাখোর চুরির উদ্দেশ্যে হাসপাতাল কম্পাউন্ডের ভিতরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তাদের দ্বারা বা রোগি বা রোগির আত্মীয় স্বজন কর্তৃক বিড়ি সিগারেটের আগুন থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন। বহিরাগত অপ্রজোনীয় মানুষের আসা-যাওয়া ঠেকাতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে হাসপাতালের প্রধান ফটকে সিকিউরিটি রুম করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তাছাড়া পুরো হাসপাতাল চত্বর সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান।
উল্লেখ্য, এর আগে ৯ মে দুপুরে হাসপাতালের ডক্টর্স কোয়াটারের দ্বিতলা ভবনের ভিতরে অজ্ঞাত কারনে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।