শেরপুরে ভুল তথ্যে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বানানো ও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শেরপুর সদর উপজেলার বেশ কিছু বীর মুক্তিযোদ্ধা।
রবিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টার সময় জেলা শহরের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শেরপুর সদর উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আব্দুল মতিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, শেরপুর সদর উপজেলার আন্ধারিয়া বানিয়া পাড়া গ্রামে একাত্তরের গণহত্যায় নিহত হন আইজউদ্দিন মোল্লা। আইজউদ্দিন মোল্লা মূলত মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন না। ১৯৭১ সালের ২৪ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক সূর্যদী গণহত্যা চালানোর সময় আইজউদ্দিন মোল্লা তার বাড়ির পিছন দিয়ে পালানোর সময় আখ ক্ষেতে নিহত হন। নিহতের সময় তিনি ৪ মেয়ে ও ২ ছেলে রেখে যান। পরবর্তীতে তার ছেলেরা বড় হয়ে ভূয়া তথ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সনদ সংগ্রহ করে। এরপরে ছেলেরা মুক্তিযোদ্ধার ছেলে পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়। ছেলেদের একজন মো. আজিজুর রহমান প্রজন্ম ৭১’র নামে আওয়ামী মনা এক সংগঠনের সভাপতি ও আরেক ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশ পরিদর্শক পদে কর্মরত আছেন। তিনি আরো বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও আজিজুর রহমান শুধু মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া সনদ দেখিয়ে সুবিধা ভোগই করছেন না, তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজী রেখে যারা যুদ্ধ করেছেন, তাদেরকে হেয় করা হয়েছে, বিকৃত করেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
মুক্তিযোদ্ধার ছেলে পরিচয় দাতা মোস্তাফিজুর রহমান ও আজিজুর রহমানের বিচার দাবি করেন বক্তারা। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হাসেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মমতাজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তালেব হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়াসহ সদর উপজেলার অনেক মুক্তিযোদ্ধাগণ উক্ত দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মলয় মোহন বল, সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম ও মোরাদুজ্জাম মোরাদ, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সহ-সাধারন সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্ত, সিনিয়র সাংবাদিক দেবাশীষ সাহা রায়, হাকিম বাবুল, জি.এইচ হান্নান, মাসুদ হাসান বাদল, সাংবাদিক সাবিহা জামান শাপলা, জুবাইদুল ইসলামসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।