শেরপুরের নকলায় সাপের কামড়ে নিলুফা ইয়াসমিন (৩৫) নামে তিন সন্তানের জননী ও পুকুরের পানিতে ডুবে ইব্রাহিম (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২২ আগস্ট) উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের জাঙ্গীড়ারপার এলাকায় সাপে দংশনের ঘটনা ও বানেশ্বরদী ইউনিয়নের বাউসা এলাকায় পানিতে ডুবে নিহতের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহিণী নিলুফা ইয়াসমিন নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের জাঙ্গীড়ারপার এলাকার আয়াতুল্লাহর স্ত্রী এবং নিহত ইব্রাহিম নালিতাবাড়ীর তালতলা এলাকার এনার উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিলুফা ইয়াসমিন রবিবার বিকেলে নিজের গোয়ালঘরে পাটখড়ি রাখতে গেলে তাকে বিষধর সাপ কামড় দেয়। পরে ওই গৃহিণীর ডাক-চিৎকারে পরিবারের অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েগেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য নিলুফা ইয়াসমিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে নিলুফা ইয়াসমিনের মৃত্যু হয়।
পাঠাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফয়েজ মিল্লাত সাপে দংশনে নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে নিহত শিশুটির মামা শিপন মিয়া জানান, জন্মের পর থেকেই ইব্রাহিম আমাদের বাড়িতে (বাউসা) থাকে। তাকে স্থানীয় একটি স্কুলের শিশু শ্রেনিতে ভর্তি করা হয়েছে। ইব্রাহিম প্রতিদিনের মতো সকালের খাবার খেয়ে খেলাধুলা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এরপরে দুপুর পেড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও ইব্রাহিম বাড়িতে আসে না। তাই আমরা সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি। আমাদের সন্দেহ হয় ইব্রাহিম পুকুরে পড়তে পারে। এমন সন্ধেহে আমরা অনেকে পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পানির নিচ থেকে ইব্রাহিমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংবাদ পেয়ে নকলা থানার পুলিশ রাত ৮টার দিকে ইব্রাহিমের মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
বানেশ্বরদী ইউপির চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত ও নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মুশফিকুর রহমান জানান, এবিষয়ে নকলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরের দিকে ইব্রাহিমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।