শেরপুরের নকলায় করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এ আক্রান্ত অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকাস্থ ‘নকলা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি উন্নয়ন সংগঠন। এ সংগঠনটি উপজেলায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত অসহায়দের চিকিৎসার জন্য দুই লাখ টাকার চেক প্রদান করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নকলা ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান-এঁর নিকট ২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করে সিমীত পরিসরে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নকলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য ও জনতা ব্যাংকের এজিএম আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, যুগ্ম সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, নকলা ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জনতা ব্যাংকের সাবেক জিএম বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন, সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলতাব আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ড কাউন্সিলের সাবক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক আলমগীর আজাদ, নকলা ফাউন্ডেশনের সদস্য সফিকুল ইসলাম সুখন প্রমুখ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নকলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান ও সদস্য শফিকুল ইসলাম, নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, সহ-সভাপতি খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসেন, নির্বাহী সদস্য সিমানুর রহমান সুখনসহ স্থানীয় সাংবাদিকগণ।
নকলা ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দরা জানান, উপজেলার যে সকল করোনা আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সংকট রয়েছে তাদেরকে এ দুই লাখ টাকা হতে প্রতিজনে ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হবে। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ’র প্রস্তাব মোতাবেক প্রতিজনে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি নকলা ফাউন্ডেশনের আগামী নির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে উত্থাপন করা হবে বলে আশ্বস্থ করা হয়। ওই মিটিংয়ে প্রতিজনে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হলে, তা তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের অবগত করা হবে বলে জানান নকলা ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন ও নির্বাহী সদস্যক আমিনুল ইসলাম।
করোনা সংক্রমণ রোধে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী কর্তৃক নকলায় সবার আগে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেওয়ায় বক্তারা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাছাড়া নকলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মেধাবৃত্তি প্রদান, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, দরিদ্র-অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও গুণীজন সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরা।
কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। প্রয়োজনে ওয়ার্ড ভিত্তিক টিম গঠন করে হলেও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেন তাঁরা। এক্ষেত্রে নকলা ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়। জরুরি প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করার বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।