শেরপুরের নকলা উপজেলার পোশাক শ্রমিক সোহাগ মিয়া (৩০) তার উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম পোশাক শিল্পের চাকরি বাঁচাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় নকলার আরও ২ পোশাক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
নিহত পোশক শ্রমিক উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী কান্দাপাড়া গ্রামের আতশ আলীর ছেলে। আর আহতরা হলেন একই এলাকার মনু মিয়ার ছেলে পোশাক শ্রমিক মিন্টু মিয়া ও অজ্ঞাত এক যুবক।
সোহাগ মিয়ার ৩-৪বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে, রয়েছেন বাবা-মা ও স্ত্রী। উপার্জনের জন্য পরিবারের একমাত্র সদস্য সোহাগ মিয়া মারা যাওয়ায় পরিবারের অন্যান্যরা তাদের জীবন জীবীকা নিয়ে মহাবিপাকে পড়েগেলেন; এমনটাই জানান এলাকাবাসীরা।
জানা গেছে, রবিবার থেকে পোশাক শিল্প খোলে দেওয়ার ঘোষণা পেয়ে আয়ের একমাত্র মাধ্যম পোশাক শিল্পের চাকরি বাঁচাতে শনিবার ভোরে মিনি ট্রাকে করে বেশ কয়েকজন পোশাক শ্রমিক ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পথিমধ্যে ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলার মধ্যবর্তী কোন এক এলাকায় সকাল সোয়া ৮টার দিকে তাদের ট্রাকটিকে অন্য একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে সোহাগ ও মিন্টু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়। ঠিক এসময় পিছন থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাক সোহাগ মিয়ার ওপর ওঠে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। বাকিদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।