শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজগর আলীর মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। বুধবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৩টার সময় উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের জাঙ্গীরার পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে জাঙ্গীরার পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠেই মরহুমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চরঅষ্টধর ইউপির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ উপজেলা শাখার সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও পাঠাকাটা ইউপির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফয়েজ মিল্লাত, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ, উপজেলার বেশকিছু বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার গন্যমান্য ও ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলিম জনতা তাঁর জানাজা নামাজে অংশ গ্রহন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজগর আলী পাঠাকাটা ইউনিয়নের কৈয়াকড়ী কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিনের ছেলে। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, ৪ মেয়ে ও নাতি নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। নকলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের অফিস সূত্রে জানা গেছে, তাঁর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট তালিকা নম্বর ৮৯০, লাল মুক্তিবার্তা নম্বর ০১১৪০৩০০০৭ এবং কল্যাণ ট্র্াস্ট তালিকা নম্বর ১৫৭২৯।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫৬ বছর ২ মাস ১৮দিন (ভোটার তালিকা অনুযায়ী), যদিও মরহুমের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবসীরা জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজগর আলীর প্রকৃত বয়স ৭০ বছরের কম নয়। উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে নির্বাচন অফিসে তাঁর বয়স সংশোধনের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নকলা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোখলেছুর রহমান ও মরহুমের পরিবারের সদস্যরা।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজগর আলী ১৬ কি ১৭ দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে দ্রুত শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। প্রায় অর্ধমাস শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ২৮ জুলাই বুধবার ভোর ৪ টা ৪০ মিনিটের সময় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজগর আলীর মৃত্যুতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিনসহ অন্যান্যরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক ও পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম মাহবুবুল আলম সোহাগ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম হিরু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক আলমগীর আজাদসহ অন্যান্যরা, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সোহেলসহ অন্যান্যরা, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ নকলা উপজেলা শাখার সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও পাঠাকাটা ইউপির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফয়েজ মিল্লাত, নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবুসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর অনেকে আলাদাভাবে শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা সকলেই মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।