শেরেপুর জেলার নকলা উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান-এঁর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১৬ বছর বয়সী আরও এক শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার কায়দা দক্ষিণপাড়া গ্রামের গেন্দু মিয়ার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বিয়ে বন্ধ করেদেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান।
কঠোর লকডাউন চলাকালে লকডাউন বিধি-নিষেধ অমান্য করে বিয়ের আয়োজন করায় কনের বাবা গেন্দু মিয়া বিয়ে বাড়িতে না থাকায় কনের ভাই হাসেম মিয়াকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাছাড়া বিয়ের জন্য করা গেইট ও বর বসার মঞ্চসহ সকল সামিয়ানা খোলে ফেলা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান কনের বাবার বাড়িতে হাজির হয়ে এ বিয়ের আয়োজন পন্ড করেদেন। পরে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক নাহওয়া পর্যন্ত তথা আগামী ২ বছরের মধ্যে মেয়েকে বিয়ে দিবেন না মর্মে কনের পরিবারের সদস্যদের কাছে মুচলেকা নেওয়া হয়।
তাছাড়া এলাকার কোন ছেলে-মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে যেন বিয়ে না হয়, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্য, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপস্থিতিদের প্রতি নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়।
এ আদালত পরিচালনাকালে নকলা থানার এসআই সিরাজুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য, সেনাবাহিনীর অফিসার ও সদস্যবৃন্দ, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেছেন বলে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান জানান।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান জানান, ৩০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে নকলাকে জেলার প্রথম বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপজেলায় কোন ভাবেই বাল্যবিয়ে হতে পারেনা। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক, বর, আয়োজক ও নিকাহ রেজিষ্ট্রার তথা কাজীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এর জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগসহ বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটির সংশ্লিষ্টরা সদা তৎপর রয়েছেন বলে তিনি জানান।