শেরপুর জেলার নকলায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এজাহার নামীয় কথিত ধর্ষক হাছেন আলীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। হাছেন আলী উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের মোজার বাজার এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে।
২৫ জুলাই রবিবার দুপুরের দিকে হাছেন আলীকে শেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। ২৪ জুলাই শনিবার রাতে তাকে মোজার বাজার এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নকলা থানার পুলিশ। এছাড়া অন্য এক নারী নির্যাতন মামলায় একজন ও জুয়ার সরঞ্জামসহ জুয়ার আসর থেকে আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ধর্ষিতা কিশোরী দরিদ্র অসহায় পরিবারের সন্তান। তাদের নিজের কোন জমি ও ঘর না থাকায় পোলাদেশী গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে। দারিদ্রতা ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর সুযোগে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ২৩ জুলাই রাতে ডেকে নিয়ে সারারাত ধর্ষণ করে ২৪ জুলাই ভোরে আশ্রয়ন প্রকল্পে তাকে পৗঁছে দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী নিজে বাদী হয়ে নকলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এলাকাবাসীর অনেকে জানান, এর আগেও লম্পট হাছেন আলী লোভ দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ২/৩ বার অজ্ঞাত স্থানে রেখে পরেরদিন বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু দরিদ্র অসহায় পরিবারের মেয়ে হওয়ায় মেয়ের ভবিষ্যৎ ও পরিবারের মানসম্মানের দিক বিবেচনা করে বিষয়টি নিজেদের মধ্যে চাপা দেওয়া হয়। তাই এর আগে জানাজানি ও কোন প্রকার অভিযোগ করা হয়নি।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান ভিকটিম কর্তৃক অভিযোগ দায়েরের বিষয় ও এজাহার নামীয় ধর্ষক হাছেন আলীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি মুশফিকুর রহমান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ২২ ধারায় ধর্ষক হাছেন আলীকে গ্রেফতার করা ছাড়াও অন্য এক নারী নির্যাতন মামলায় একজন ও জুয়ার সরঞ্জামসহ জুয়ার আসর থেকে আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করে রবিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।