শেরপুরের নকলা উপজেলায় সরকারের ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে লকডাউনের প্রথম দিনে কঠোর অবস্থানে ছিলেন উপজেলা প্রশাসন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, পুলিশ ও বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
লকডাউনের প্রথম দিন ২৩ জুলাই (শুক্রবার) ঔষধের দোকান, খাদ্য সামগ্রী, হোটেল ও জরুরি সেবা ছাড়া নকলা বাজারের সকল দোকানপাঠ বন্ধ ছিলো। তবে যেসকল পথচারীরা অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছিলেন এবং যাদের মাস্ক পরিধান করা ছিলোনা তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থদন্ড করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে লকডাউন অমান্য করায় দন্ডবিধি-১৮৬০ এর ২৬৯ মোতাবেক নকলায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পরিচালিত ২১ টি মামলায় ১৩ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। তাছাড়া যে বা যারা মাস্ক নিয়ে বের হননি তাদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) আদালতের নির্বাহী বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ এবং সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিন বিশ্বাস এ আদালতের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। এসময় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য ও নকলা থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকর করতে শুক্রবার দিনব্যাপী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ এবং সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিন বিশ্বাস-কে পৌরশহরের বিভিন্ন গলিসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এলাকায় নিজে মাইকের মাধ্যমে অপ্রয়োজনে বাহিরে বের না হতে জনগনকে সচেতন করতে ও সকলকে মাস্ক পরিধান করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানাতে দেখা গেছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী বিচারকগন জানান, চলমান লকডাউনে কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকর করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, গণপরিবহন বিশেষ করে সি.এন.জি, অটো চালিত পরিবহণ ইত্যাদি বন্ধ না করতে পারলে অযথা মানুষের দূর-দূরান্ত থেকে আসার প্রবনতা কমবে না। মানুষ অকারণে বের হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহন বন্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে ওয়ার্ড কমিটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।