২১ জুলাই বুধবার সারাদেশব্যাপী মুসলিম ধর্মপ্রানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদ-উল-আজহা পালিত হলো। করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার মধ্যদিয়ে ঈদগাহ মাঠে জামাতের সহিত নামাজ আদায় করার অনুমতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ নির্দেশনা পেয়ে উপজেলার শতাধিক ঈদগাহ মাঠ ছাড়াও শতাধিক মহল্লার মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১০১ টি ঈদগাহ মাঠ রয়েছে। তথ্যটি ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক গত ৩ বছরের আগের জরিপে করা। এবছর আরও ২-৩ টি ঈদগাহ মাঠ বেড়েছে বলে জানান ইসলামী ফাউন্ডেশনের নকলা উপজেলা অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন।
প্রতিটি ঈদগাহ মাঠ ছাড়াও আরও অন্তত ১১০ টি মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে নকলা থানা কর্তৃপক্ষ। এসআই রাজীব কুমার ভৌমিক জানান, ঈদগাহ মাঠ ও মসজিদসহ উপজেলার ২১০ থেকে ২২০ টি পবিত্র ঈদ-উল-আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৪২ হাজার থেকে ৪৫ হাজার লোক এ ঈদের নামাজ জামাতের সহিত আদায় করেছেন বলে তিনি ধারনা করছেন।
উপজেলার সর্ববৃহৎ ঈদ-উল-আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয় গনপদ্দী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী চিথলিয়া ঈদগাহ মাঠে। এ জামাতের ইমামতি করেন মাওলানা মুফতি মো. খোরশেদ আলম। এই মাঠে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাড়ে ৯টার সময়। এই জামাতে প্রায় ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার মুসল্লী অংশ গ্রহন করেন বলে জানান চিথলিয়া ঈদগাহ মাঠ কর্তৃপক্ষসহ অনেকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, যেসকল মুসল্লীরা ভুলে মাস্ক পরিধান করেননি বা মাস্ক নিয়ে আসেননি তাদেরকে মাঠকর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিনামূল্যে মাস্ক দেওয়া হয়েছে। ফলে এই মাঠে যেসকল মুসল্লীরা জামাতে অংশ গ্রহন করেছেন, তাদের শতভাগ মাস্ক পরিধান করা ছিলো বলে জানান চিথলিয়া ঈদগাহ মাঠ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য যে, ২০ জুলাই মঙ্গলবার সৌদিআরবসহা মধ্যপ্রাচ্যের সাথে দিনের মিল রেখে নকলা উপজেলার পৌরসভার চরকৈয়া ও নারায়নখোলা এলাকায় ২টি মসজিদে আগাম ঈদ-উল-আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, নকলা উপজেলায় ৪৮৭ টি মসজিদ রয়েছে। এরমধ্যে ৪৫০টি পুরাতন ও ৩৭ টি মসজিদ নতুন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।