শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিম (৭০) মারা গেছেন; ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিম উপজেলার উরফা ইউনিয়নের তাড়াকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুছ ছালামের ছেলে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিম ২২ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোর ৩টার সময় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি গ্রামের বাড়ি ছেড়ে নকলা পৌরসভার গড়ের গাঁও এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতেন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুর ২ টা ৩০মিনিটের সময় গড়ের গাঁও গোরস্থান মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার পরে মরহুমের যানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। যানাজা নামাজ শেষে গড়ের গাঁও গোরস্থানে মরদেহ কবরস্থ করা হবে বলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও মরহুমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
মরহুমের মেয়ের জামাতা গোলাম মোস্তফা জানান, জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) অনুযায়ী মৃত্যুকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর ৬ মাস ২০ দিন। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ৫ মেয়ে ও নাতি নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। নকলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের অফিস সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের মুক্তিযোদ্ধার গেজেট তালিকা নং ১০৯১ ও লাল মুক্তিবার্তা তালিকা নং ০১১৪০৩০০২৫।
নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুলাই তারিখে তাঁর শরীরে করোনা এন্টিজেন পজিটিভ এসেছিল। রোগির অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে ১৮ জুলাই রবিবার ছাড়পত্র প্রদান করে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরঠিক ৩দিন পরেই পুনরায় ২১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে, পরে তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। ভোররাত ৩ টারদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ছিলো কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের মৃত্যুতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম হিরু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, পৌরসভার মেয়র মো. হাফিজুর রহমান লিটন, নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উরফা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক হীরা, নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবুসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগনসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর অনেকে আলাদাভাবে শোক প্রকাশের পাশাপাশি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।