সৌদিআরব তথা মধ্যপ্রাচ্যের সাথে দিনের মিল রেখে শেরপুর জেলার সদর উপজেলাসহ নকলা, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতি উপজেলার অন্তত ৭ গ্রামে আগাম ঈদ-উল-আজহা উদযাপন করা হচ্ছে। সকাল ৮ টা থেকে ৯ টার মধ্যে এ সব এলাকার স্থানীয় মসজিদে আগাম ঈদ-উল-আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিটি জামায়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫০ থেকে ২৫০ জন করে মুসল্লী নামাজ আদায় করেন। পুরুষ মুসল্লীর পাশাপাশি পর্দার আড়ালে অন্তত ২০ থেকে ৪০ জন করে নারী মুসল্লী জামাতের সহিত ঈদ-উল-আজহার নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।
জেলার যেসব এলাকায় আগাম ঈদ-উল-আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলো হলো- শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর চরখারচর ও দক্ষিণ চরখারচর, নকলা উপজেলার নারায়নখোলা ও পৌরসভার চরকৈয়া, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনী পাড়া এবং ঝিনাইগাতি উপজেলার বনগাঁও চতল।
উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কিছু মুসল্লী দীর্ঘদিন ধরে সৌদিআরবের সাথে দিনের মিল রেখে ঈদ ও রোজাসহ অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রম গুলো পালন করে আসছেন। চরকৈয়া গ্রামের আগাম জামাতের ইমাম সারোয়ার জাহান বলেন, আমরা সৌদিআরবের সাথে দিনের মিল রেখে দীর্ঘদিন ধরে রোজা ও ঈদের জামাতসহ অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রম গুলো করে আসছি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দিন দিন এসব আগাম ঈদ জামাতেও নারী-পুরুষ মুসল্লীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ধর্মীয় ও সরকার বা রাষ্ট্রীয় আইনের বাহিরে কোন কাজ তারা করেন না বলেই, তাদের জামাত চলাকালীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া হয় বলে তাদের দাবী।