আগত ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে শেরপুরের নকলায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এক প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ জুলাই বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান-এঁর সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন।
ইউএনও জাহিদুর রহমান-এঁর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার (ইউএলও) ডা. মো. আব্দুল আহাদ, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান, চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকী প্রমুখ।
ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এ প্রস্তুতি মূলক সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সুজা, দপ্তর সম্পাদক খলিলুর রহমান, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আলমগীর হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ, উপজেলা মহিলা বষয়ক কর্মকর্তা রোমানা ইয়াসমীন, সহকারী তথ্য অফিসার (ভারপ্রাপ্ত তথ্য অফিসার) সাইমুন শাহানাজ, নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য রাইসুল ইসলাম রিফাতসহ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার, সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের নকলা শাখার ব্যবস্থাপক, উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ পর্যায়ক্রমে অংশ গ্রহন করেন।
ঈদকে সামনে রেখে যেন কোন নিষিদ্ধ সংগঠন বা ছদ্দ নামের কোন সংগঠন কোন প্রকার নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে নাপারে সেদিকে কড়া নজর রাখতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও পুলিশ বিভাগের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিনসহ বলেন, মুসলিম জাহানের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান কোরবানীর ঈদ বিবেচনায় সরকার আপাতত কঠোর বিধি-নিষেধ ৮দিনের জন্য শিথিল করলেও, বেশ কিছু সাধারণ বিধি-নিষেধ বলবৎ রয়েছে; সেগুলো যথাযথ ভাবে মেনে চলতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। তিনি বলেন, নকলার মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয়। তবে উপজেলায় কিছু অসাধু মানুষ থাকতেই পারে, তাই কেউ যেন কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারেন সেদিকে বিশেষ নজর রাখা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
ইউএনও জাহিদুর রহমান বলেন, মান্যবর জেলা প্রশাসক মো. মুমিনুর রশিদ মহোদয়ের নির্দেশনায় করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সুরক্ষিত থাকতে সচেতন ব্যক্তিবর্গ যেন গরুর হাটে না গিয়ে অনলাইনে কোরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন সে লক্ষ্যে অনলাইন পশুর হাট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অনলাইনে পশু বেচা-কেনায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনায় সুরক্ষিত থাকতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শতভাগ মাস্ক পরিধান করে চলার কোন বিকল্প নেই। কোরবানী ঈদ উপলক্ষে আপাতত ৮দিন দোকানপাঠ, শপিংমল ও মার্কেট খোলা থাকলেও, কোন দোকানে ৪-৫ জনের বেশি ক্রেতা থাকলে, কারও মাস্ক পরিধান করা না থাকলে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখলে দোকান মালিক, শপিংমল ও মার্কেটের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে তিনি জানান। তাছাড়া পৌরসভার মেয়র ও সকল ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যানদের প্রতি নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁরা যেন স্থানীয়দের নিয়ে ঈদের বর্জ্য অপসারণ বিষয়ক ও করোনায় সুরক্ষা থাকতে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা করাসহ সচেতনতা সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশীলজনরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।