শেরপুরে পবিত্র ঈ-উল-আযহা উপলক্ষে বান্যাক্রান্ত, অন্যান্য দুর্যোগাক্রান্ত দুঃস্থ, অতিদরিদ্র ৮৪ হাজার ৯৫৬ টি ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ)-এর কার্ডধারী ব্যক্তি বা পরিবারের মাঝে ভিজিএফ’র আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রতিজনের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ কাজ চলছে।
সুবিধাভোগী পরিবার গুলোর মধ্যে শেরপুর পৌরসভার ৪ হাজার ৬২১ টি, নকলা ও নালিতাবাড়ী পৌরসভার ৩ হাজার ৮১টি করে, শ্রীবরদী পৌরসভার এক হাজার ৫৪০টি পরিবার এবং পৌরসভা ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শেরপুর সদর উপজেলার ২৫ হাজার ৫৭৯টি, নকলা উপজেলার ১০ হাজার ৬১টি, নালিতাবাড়ী উপজেলার ১৫ হাজার ২৫৭ টি, শ্রীবরদী উপজেলার ১৩ হাজার ৫০৬ টি ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ৮ হাজার ২৩৩ টি পরিবারকে এ কর্মসূচির অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। প্রতি কার্ডের অনুকূলে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। এহিসেব অনুযায়ী জেলায় মোট ৮৪ হাজার ৯৫৬ টি কার্ডের অনুকূলে ৮৪৯.৫৯ মেট্রিকটন (৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬০ কেজি) চাল বিতরণ করা হবে।
নকলা উপজেলায় ১৩ হাজার ১৪২ টি সুবিধাভোগ পরিবার গুলোর মধ্যে পৌরসভার ৩ হাজার ৮১টি ও উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ১০ হাজার ৬১টি পরিবার প্রধানের হাতে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলার ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে গনপদ্দী ইউনিয়নের এক হাজার ৩৫০ পরিবার, নকলা ইউনিয়নের এক হাজার ২৫ পরিবার, উরফা ইউনিয়নের এক হাজার ২৭৩ পরিবার, গৌড়দ্বার ইউনিয়নের ৬০৭ পরিবার, বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ৯১৫ পরিবার, পাঠাকাটা ইউনিয়নের এক হাজার ২০০ পরিবার, টালকী ইউনিয়নের ৯৬৬ পরিবার, চর অষ্টধর ইউনিয়নের এক হাজার ২৭০ পরিবার ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের এক হাজার ৪৫৫ টি পরিবারের মাঝে প্রতি পরিবারে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ কাজ চলছে।
পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফয়েজ মিল্লাতসহ বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বিতরণ অনুষ্ঠানে সরকারের নির্দেশনা মোতাবকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও সকলকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তাঁরা জানান, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সুবিধাভোগী বাছাইয়ে শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁরা আরও জানান, অধিকতর স্বচ্ছতার জন্য উপকারভোগীদের মূল জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে তালিকা তৈরি করে ও উপজেলা কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পরে চুড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত এ তালিকা অনুযায়ী সুবিধাভোগীদের মাঝে বরাবরের ন্যায় চাল বিতরণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান জানান, অনিয়ম ঠেকিয়ে সুষ্ঠভাবে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। সাধারণত একই পরিবার থেকে একাধিক ব্যক্তি যেন এ সুবিধা ভোগ করতে না পারেন, এ স্বচ্ছতা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের ট্যাগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।