গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরাধীন মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় শেরপুর জেলার ১৪ হাজার পরিবারের মাঝে জিআর’র ১০ কেজি করে ১৪০ মেট্রিকটন (এক লাখ ৪০ হাজার কেজি) চাল বিতরণের কাজ চলেছে।
সুবিধাভোগী পরিবার গুলোর মধ্যে পৌরসভা ভিত্তিক শেরপুর, নকলা, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী প্রতি পৌরসভার জন্য ১০ মেট্রিকটন করে মোট ৪০ মেট্রিকটন (৪০ হাজার কেজি) এবং পৌরসভা ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে শেরপুর সদর উপজেলায় ১৫ মেট্রিকটন, নকলা, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার জন্য ২০ মেট্রিকটন করে ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ২৫ মেট্রিকটনসহ মোট ১০০ মেট্রিকটন (এক লাখ কেজি) চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফয়েজ মিল্লাত, চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকী, নকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সুজা, উরফা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক হীরা, বানেশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার মহব্বতসহ বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বিতরণ অনুষ্ঠানে সরকারের নির্দেশনা মোতাবকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও সকলকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
নকলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, নকলা পৌরসভার এক হাজার সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ১০ মেট্রিকটন (১০ হাজার কেজি) চাল বিতরণ করা হবে। তাছাড়া উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে মোট ২ হাজার পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ২০ মেট্রিকটন (২০ হাজার কেজি) চাল বিতরণ করা হবে। সুবিধাভোগী পরিবার গুলোর মধ্যে- গনপদ্দী ইউনিয়নের ২৪০ পরিবার, নকলা ইউনিয়নের ২২০ পরিবার, উরফা ইউনিয়নের ২৪০ পরিবার, গৌড়দ্বার ইউনিয়নের ১৫০ পরিবার, বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ২০০ পরিবার, পাঠাকাটা ইউনিয়নের ২২০ পরিবার, টালকী ইউনিয়নের ২০০ পরিবার, চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ২৬০ পরিবার ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের ২৭০ টি পরিবারকে এই মানবিক সহায়তা কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবার ২/১ দিনের মধ্যেই ১০ কেজি করে চাল পাবেন বলে পিআইও জাহাঙ্গীর আলম জানান।