শেরপুর জেলার নকলা উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি এ্যাম্বুলেন্স উপহার পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এ্যাম্বুলেন্স পেয়ে নকলাবাসী বেজায় খুশি।
৯ জুলাই শুক্রবার রাতে এ্যাম্বুলেন্সটি উপজেলায় এসে পৌঁছে এবং ১০ জুলাই শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ্যাম্বুলেন্সটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন শেরপুর সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম আনোয়ারুর রউফ। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণরোধে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সীমিত পরিসরে এ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, করোনা ভাইরাসের বিষয়টি মাথায় রেখেই জনসমাগম এড়াতে উদ্বোধনের সময় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ছাড়া উল্লেখযোগ্য কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তবে উপজেলার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা পর্যায়ক্রমে এ্যাম্বুলেন্সটি দেখতে এসে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী-এঁর জন্য দোয়া ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
নকলার মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী ছিলো একটি নতুন এ্যাম্বুলেন্স, আর সেই বিষয়টা মাথায় রেখে নকলা-নালিতাবাড়ীর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অভিভাবক কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এঁর দেওয়া উপহারের এ্যাম্বুলেন্সটি নকলায় এসে পৌঁছেছে।
নকলাবাসীর জন্য অত্যাধুনিক এই এ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আলম মঞ্জু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সোহেলসহ উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, স্থানীয় সুশীলজন ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার জনগন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এই এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে দ্রুততার সাথে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরসহ বিভাগ ও রাজধানীতে প্রেরণ অনেক সহজ হবে। তাই স্থানীয়দের মাঝে আনন্দ উল্লাস বিরাজ করছে। তবে এটি চালানোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারিভাবে প্রশিক্ষিত একজন চালক নিয়োগ দেওয়া দরকার বলে স্থানীয়রা জানান। এই এ্যাম্বুলেন্সটি নকলার চিকিৎসা সেবায় নতুন এক মাত্রা যোগ করবে বলে স্থানীয়রা মনে করেন। তাই সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ এই উপহার পেয়ে খুবই সন্তোষ্ট।