শেরপুর সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর শ্রীমত হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে এবং অপকৌশলের মাধ্যমে হত্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে হত্যা মামলার চিহিৃত আসামী ও তাদের আত্মীয় স্বজন দিয়ে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দায়ের অব্যাহত রেখেছে আসামী পক্ষ। এরই মধ্যে শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন ও সাংবাদিক শাহরিয়ার শাকিরসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক ডজন (১২টি) সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথা হয়রানী মুলক কাল্পনিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শ্রীমত হত্যা মামলার আসামী পক্ষের দায়ের করা ডজন খানেক মামলায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী, রাজধানী ঢাকায় কোম্পানীতে কর্মরত, নিহত শ্রীমত আলীর নিরিহ আত্মীয়স্বজন, স্থানীয় মসজিদ-মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ গন্যমান্য ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধীদেরও বিবাদী করা হয়েছে! এনিয়ে জেলা-উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভসহ হতাশা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। হয়রানী মূলক মামলার ভয়ে তথা প্রাথমিক ভাবে আইনি নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছেন বস্তুনিষ্ট লেখক বা সাংবাদিক, হত্যা মামলার বাদী পক্ষ ও স্থানীয় অনেকে। শ্রীমত হত্যা মামলার বাদী উকিল মিয়া এসব অভিযোগ করেছেন।
শ্রীমত হত্যা মামলার বাদী উকিল মিয়া বলেন, আমার দায়ের করা মামলার স্বাক্ষী শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাংবাদিক শাহরিয়ার শাকির ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের আসামী করে শেরপুর কোর্টে এ পর্যন্ত ১২টি মামলা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথা হয়রানী মুলক কাল্পনিক। এসব মামলার মধ্যে ৩টি সিআইডি শাখায়, ৪টি পিবিআই শাখায় ও ৪টি শেরপুর সদর থানায় তদন্তাধিন রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, জামিনে আসা আসামীরা আমাকে প্রায়ই হুমকি দিচ্ছে। আসামী জামান মিয়ার অবৈধ ও সুদের কোটি কোটি টাকা আছে। প্রধান আসামী সাদা ও তার ভাগ্নেরাও প্রচুর টাকার মালিক। টাকার জোরে আমাদেরকে দেখে নিবে বলে বরাবর হুমকি দিচ্ছে তারা। ফলে আমিসহ আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা জান-মালের নিরাপত্তা হীনতায় দিনাতিপাত করছি।
এদিকে শ্রীমত হত্যা মামলার আসামীদের মধ্যে পুলিশি তৎপরতায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেলা হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়। এর কিছু দিন পরে তারা জামিনে বের হয়ে শ্রীমত হত্যা মামলার বাদী, স্বাক্ষী ও তার আত্মীয়স্বজনদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বলেও জানান মামলার বাদী উকিল মিয়। মিথ্যা মামলা, লুটপাট করাসহ নানা হুমকি দেয়ায় তারা নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বলে তিনি বলেন। এসব বিষয়ে থানায় একাধিক সাধারন ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে বলে উকিল মিয়া জানান।
এ বিষয়ে শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন জানান, ঘটনার পর থেকে আমি ও আমার ছেলে শাহরিয়ার শাকির জরুরি প্রয়োজনেও একটিবারের জন্য াামাদের গ্রামের বাড়ীতে যাইনি; অথচ আমাকেসহ আমার ছেলে ও এলাকার অনেক নিরীহ সুশীলজনকে তাদের সাজানো মামলায় আসামী করা হয়েছে। শুধু তাই নয় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী, রাজধানী ঢাকায় কোম্পানীতে কর্মরত, নিহত শ্রীমত আলীর নিরিহ আত্মীয়স্বজন, স্থানীয় মসজিদ-মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ গন্যমান্য ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধীদেরও শ্রীমত হত্যা মামলার আসামীরা তাদের ডজন খানেক মামলার প্রায় প্রতিটিতে বিবাদী করেছে। এসব মামলা শুধু মাত্র হত্যা মামলা থেকে বাচাঁর জন্যই করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জেলা-উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকসহ সুশীলজন ও এলাকাবসীর দাবী চাঞ্চল্যকর শ্রীমত হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে এবং অপকৌশলের মাধ্যমে হত্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে হত্যা মামলার চিহিৃত আসামী ও তাদের আত্মীয় স্বজন দিয়ে শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন ও সাংবাদিক শাহরিয়ার শাকিরসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একের পর এক সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথা হয়রানী মুলক কাল্পনিক মামলা দায়ের কর দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে, অযথা হয়রানী মূলক মামলা করা বন্ধ উচিত। তাছাড়া শ্রীমত হত্যা মামলার চিহৃত আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ট বিচারের দাবীও জানান তারা।
এ ব্যাপারে শেরপুর পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী বলেন, আমরা বিষয়ের মোটামুটি সব কিছু জানি। তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় ও সঠিক ব্যবস্থাই গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।