সারাদেশের ন্যায় শেরপুর জেলার নকলায় করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের পঞ্চম দিনে রাস্তায় সাধারন জনগনের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম ছিল। হোটেল-রেস্তোরাঁ, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ কার্যকরে তৎপর ছিলেন উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা-সদস্যবৃন্দ। ৫ জুলাই সোমবার বিকেলে নকলার কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের পরিস্থিতি হঠাৎ পরিদর্শনে এসে নকলাবাসীর প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শেরপুর জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।
পরিদর্শন কালে তাদের সাথে ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহাম্মেদ, সহকারী কমিশনার (ভোক্তা অধিকার) সালাউদ্দিন বিশ্বাস, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন তৈমুর রহমান, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমানসহ সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ বিভাগের বেশ কিছু কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।
সোমবার নকলা সাপ্তাহিক হাটের দিন হওয়ায় জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী নকলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লকডাউন পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন বলে অনেকে ধারনা করেন।
শেরপুর স্থানীয় সরকার উপপরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় সেনাবাহিনীর ৬টি গাড়ীতে অন্তত একশ’ সেনা সদস্য, ২ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাব-১৪ টিমের অন্তত ২০ জন, এক প্লাটুন আনসার-ভিডিবিসহ প্রয়োজনীয় পুলিশ সদস্য ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিন নকলায় স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করায় ২৪ জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মোট ৯ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশে এবং জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল চলমান থাকবে বলে জানান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহাম্মেদ।
ইউএনও জাহিদুর রহমান সর্বসাধারনকে আহবান জানিয়ে বলেন, “আসুন, সরকারের এই কঠোর বিধি নিষেধকে শাসন হিসেবে না দেখে জনগনের জন্য সরকারের “care” বা “যত্ন” হিসেবে মূল্যায়ন করি। কারণ, প্রতিদিন কিন্তু মৃত্যু এবং সংক্রমনের আগের দিনের রেকর্ড ভাংছে, যা অত্যন্ত অশুভ সংকেত আমাদের সকলের জন্যই। আমরা সকলে মিলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে কোভিড কে প্রতিহত করে দ্রুত সেই সোনালী ভোরের দিন গুনি। আমাদের কোন ভুলে যেনো এই কঠিন সময় দীর্ঘায়িত না হয়। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে আরও বলেন মনে রাখতে হবে “Home is better than ICU, prevention is better than cure, mask is better than ventilator.”