‘গাছ আমাদের বন্ধু’, ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’ এই শ্লোগানে শেরপুরের নকলা উপজেলায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সুফল প্রকল্পের আওতায় ও বন বিভাগের সহায়তায় জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরের দিকে সামাজিক বনায়ন এন্ড ট্রেনিং সেন্টার (এসএফএনটিসি) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার নকলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র-ধানাকুশা সড়কে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন কাঠ জাতীয় গাছের চারা রোপন কার্যক্রম চলে। এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে দ্বিতীয় ধাপে গাছের চারা রোপন করা হয়।
এসময় সামাজিক বনায়ন এন্ড ট্রেনিং সেন্টার (এসএফএনটিসি) প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রেজ্জাক, পিএম আতা এলাহী, উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিদ বিন মতিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মেম্বার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও সমাজ সেবক আক্তার হোসেন মাস্টার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, আবসিক হল কমিটির সাবেক আহবায়ক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (অবদান)-এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, দেশজুড়ে খ্যাতি অর্জন করা রক্তদান সংগঠন (স্বজন)-এর সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ-এর ঢাকা মহানগর শাখার শেরপুরের একমাত্র সদস্য তৌহিদুর রহমান ডালিম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুর রহিম মোস্তফা, সহ-সম্পাদক আরেফিন আহাম্মেদ সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ, উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক শোয়েব মাহমুদ রিশাদ, নকলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসাইন, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সিমানুর রহমান সুখন, স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী রবিন মিয়া, সাইফুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, অন্তর মিয়া, আলম মিয়া ও মুরাদুজ্জামানসহ অনেক তরুণ ছাত্রনেতা উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক বনায়ন এন্ড ট্রেনিং সেন্টার (এসএফএনটিসি)-এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রেজ্জাক জানান, এই প্রকল্পের আওতায় নকলা উপজেলায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে ৩ হাজার কাঠ গাছের চারা রোপন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নকলা ইউনিয়নরে ৩ কিলোমিটার রাস্তার পাশে কাঠ গাছের চারা রোপন শেষ হয়েছে। তবে মাঝে মধ্যে যেসকল চারা মারা গেছে বা মারা যাচ্ছে সেখানে পুনরায় চারা রোপন কাজ চলছে। এক্ষেত্রে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা চারা রোপন ও পরিচর্যায় সার্বিক সহায়তা করছেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিদ বিন মতিন বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের কোন বিকল্প নেই। তাই দেশের যেকোন পতিত জায়গায় গাছের চারা রোপনে আমরা সকলকে উৎসাহিত করছি। তিনি জানান, রাস্তার পাশের পতিত জায়গায় গাছ রোপন করলে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে, ফলে এ দেশটি হবে সবুজ শ্যামলে ভরপুর, বাড়বে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, সমবৃদ্ধ হবে কৃষি অর্থনীতি। তাছাড়া রাস্তা ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাবে, অন্যদিকে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আসবে প্রচুর টাকাও। তাই রাস্তার দুই পাশে গাছ লাগাতে সকলকে উৎসাহিত করছেন বলে তিনি জানান।