করোনা সংকটে জীবন-জীবিকার প্রাধান্য দিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে জাতীয় সংসদে পেশকৃত সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধির ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট শিক্ষাবান্ধব, উন্নয়ন ও গণমুখী হওয়ায় গণতন্ত্রের মানসকন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করাসহ পথ সভা করেছেন শেরপুরের নকলা উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মীরা।
“মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার বাজেট হবে জনতার, শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাজেট হবে জনতার” এমন সব শ্লোগানে ৫ জুন শনিবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী আবু হামযা কনকের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে, পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আবু হামযা কনকের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত এ পথ সভায় ছাত্রলীগ কর্মী আলী আহসান সাগর, ইউসুফ নবী স্বর্ণ, শাওন হাসান, ওয়াসিম মিয়া, এইচ.এম শেখ ফরিদ, কামাল মিয়া, নাজমুল হাসান নাঈম, আল আমিন আকন্দসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা তাদের বিবৃতিতে বলেন- বাংলাদেশের ইতিহাসে এবার সবচেয়ে বড় বাজেট উপহার দিয়েছেন সরকার। এ বাজেট বাঙালি জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহস যুগিয়েছে। এবারের বাজেট সমৃদ্ধি ও আগামীর স্বপ্ন পূরনের বাজেট বলে তারা উল্লেখ করেন। মানবিক এ বাজেটে নিজস্ব অর্থনৈতিক উৎসের প্রতি গুরুত্বদিয়ে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষিত যুবক-যুবনারীদের কর্মসংস্থানের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তারা মনে করেনে। নারীর ক্ষমতায়ন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা এ বাজেটে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুষম উন্নয়নের লক্ষে বাজেটে বিশেষ অর্থ বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। গুরুত্ব দেয়া হয়েছে খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার উপর। বাজেটে এডিপিতে দারিদ্র বিমোচন ও জিডিপির প্রবৃদ্ধির ত্বরান্বিতকরন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, আইসিটির উপর একই ভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষে কারিগরি শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে তারা জানান।
বক্তারা আরও জানান, করোনা মহামারির চলমান সময়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের বাজেটে বিশ্ব অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতির সামঞ্জস্যতার নিরিখে বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে করোনা মোকাবিলা। দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে করোনার বিস্তার রোধে বাজেটে মনোযোগ দেয়া হয়েছে। গুরুত্বারোপ করা হয়েছে করোনা ভাইরাসসহ বিভিন্ন টিকা দেওয়ার প্রতি। করোনার এই সংকটকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যশিক্ষা খাতের জরুরি চাহিদা মেটাতেও এবারের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যশিক্ষা খাতকে ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় আনা এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংকট মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সেবার সক্ষমতা বাড়াতে প্রস্তাবিত বাজেটে বাস্তব ভিত্তিক দিক নির্দেশনা থাকার পাশাপাশি দেশের পিছিয়ে পড়া কর্মহীন মানুষের জীবন জীবিকার পথ সুগম করতে এ বাজেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া কৃষি, শিক্ষা, শিল্পসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা দারিদ্র বিমোচনসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। এরজন্য বিভিন্ন ভাতাসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আনন্দ মিছিল ও পথ সভায় ছাত্রলীগ কর্মী আনহার, জিসান, রাজু আহমেদ, রাসেল, সুজন মিয়া, জুনায়িদ, রেদোয়ান ইসলাম তাফসির, রতন,স্বাধীন, মজিদ মিয়া, শরিফ আহমেদ, অভ্র বণিক, রাহাত হাসান, আতাবুর রহমান অনিক, সুজন সরকার, মেহেরাজ ইমতিয়াজ জিসান, ফারহানা আহম্মেদ শাকিল, মোশাররফ হোসেন, সৌরভ, সুজন মিয়া, রাসেল মিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ছাত্রলীগের অগণিত কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।