শেরপুরের নকলা উপজেলায় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০২১ পালন উপলক্ষে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিসরে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“করোনাকালে গর্ভকালীন সেবা নিন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু রোধ করুন” এই শ্লোগান সামনে রেখে ২৮ মে শুক্রবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিলনায়তনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. একেএম নাজমুস সাকিব, মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল ওয়াদুদ, সহকারী সার্জন ডা. তানজিনা মাহবুব, মেডিকেল অফিসার ডা. মালিহা নুঝহাত প্রমুখ।
এসময় নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এইচআই) রফিকুল ইসলাম, এমটিইপিআই আব্দুর রহিম, সেনেটারী ইন্সপেক্টর (এসআই) হাসান ফেরদৌস আলম, মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্ট আবু কাউছার বিদ্যুৎ, নকলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন, নকলা হাসপাতালে কর্মরত এইচআই, এসএসিএমও, এএইচআই, এফপিআই, এফডব্লিউবি, এফডব্লিউএ, এইচএ-সহ নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষের যুগেও অনেক নারীকে মা হওয়ার সময় মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে। এ দেশের অনেক মা অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগেন, যা মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তাছাড়া প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতনতা, গর্ভকালীন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়া ও অদক্ষ দাইয়ের হাতে সন্তান প্রসব করানোর ফলেও অনেক মায়ের মৃত্যু ঘটে। গর্ভকালীন সময় মায়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিচর্যার ক্ষেত্রেও অবহেলা না করে বিশেষ সেবা করা প্রয়োজন বলে তারা জানান।
এক পরিসংখ্যানের তথ্য মতে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে মাতৃমৃত্যু হার ছিল ৫৭৪ জন এবং ২০১৩ সালে এই হার ছিল প্রতি লাখ জীবিত জন্মে ১৭০। তবে ২০১৫ সালের মধ্যে এ হার কমিয়ে ১৪৩-তে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী যার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ জন।