শেরপুরে বজ্রপাতে সুজেদা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহিনী, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মো. সাইফুল ইসলাম (২৮) নামে এক ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক ও মৃগী নদীর পানিতে ডুবে তানজিলা আক্তার (১২) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। ১৭ মে সোমবার সদর উপজেলায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ৩টি ঘটে।
বজ্রপাতে নিহত সুজেদা বেগম উপজেলার হরিণধরা পূর্বপাড়া গ্রামেরস্থানীয় হান্নান মিয়ার স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হচ্ছিল। তখন সুজেদা বেগম নিজ বসতবাড়ির সামনে গৃহস্থালীর কাজ করছিলেন। এসময় তার উপর আকস্মিক বজ্রপাত ঘটলে সুজেদা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত সাইফুল ইসলাম উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মাঝপাড়া এলাকার স্থানীয় দুলাল মিয়ার ছেলে। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম তার ভাড়ায় চালিত ইজিবাইকটি চার্জ দিতে রবিবার রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখেন। সোমবার চার্জ দেওয়া ইজিবাইকের বিদ্যুৎ সংযোগ খুলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পানিতে ডুবে নিহত তানজিলা আক্তার উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাট এলাকার ইনসান মিয়ার মেয়ে। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তানজিলা ও তার ছোট ভাই জিহাদ তাদের বাড়ির পাশে মৃগী নদীতে গোসল করতে নেমে তারা হঠাৎ পানি ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশু জিহাদকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও নিখোঁজ হয় কিশোরী তানজিলা। সংবাদ পেয়ে স্থানীয়রা প্রায় আড়াই ঘন্টা উদ্ধার কাজ চালিয়ে তানজিলাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনা তিনটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।