শেরপুরের নকলা উপজেলায় করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে পরিত্রানের আশায় বাংলাদেশ থেকে করোনা নির্মূলে মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হয়েছে। তাছাড়া ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের সকল মুসলমানদের রক্ষায় দোয়া করা হয়।
১৪ মে শুক্রবার উপজেলার অন্তত সাড়ে চারশ’ মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর নামাজের পরে দোয়ার মাঝে বাংলাদেশ থেকে করোনা নির্মূল ও ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের সকল মুসলমানদের রক্ষায় দোয়া করেন সংশ্লিষ্ট মসজিদের খতিব ও ঈদ-উল-ফিতর নামাজের ইমামগন।
সরেজমিনে উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী পূর্ব খন্দকারপাড়া হাজীবাড়ী জামে মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, এ মসজিদের খতিব ও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর নামাজের ইমাম মাওলানা রাশেদ মাহমুদ ঈদ-উল-ফিতর নামাজের পরে সকল মুসল্লিদের নিয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে মহান আল্লাহ্র দরবারে বাংলাদেশ থেকে করোনা নির্মূলে ও ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের সকল মুসলমানদের জালিমদের হাত থেকে রক্ষায় কান্না জড়িত কণ্ঠে বিশেষ দোয়া করছেন। দোয়ার মাঝে তিনি বলেন, “হে আল্লাহ্ তুমি ফিলিস্তিনসহ সারা পৃথিবীর মুসলমানদের হেফাজত কর। সুরক্ষা দান কর অদৃশ্য প্রাণঘাতী ভয়াল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে।” এ মোনাজাতে তিনি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের মরহুম অন্যান্য সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া করেন। ৯ মিনিটব্যাপী চলা এ মোনাজাতে দুহাত তুলে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি আমিন আমিন ধ্বনিতে সকলের জন্য দোয়া করেন ছোট-বড় সব বয়সী মুসল্লিগন।
বানেশ্বরদী পূর্ব খন্দকারপাড়া হাজীবাড়ী জামে মসজিদ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মো. ছাইদুল হক বলেন, এদেশে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই আমার প্রতি ওয়াক্ত নামাজে করোনা নির্মূলে দোয় করে আসছি। বিশেষ করে প্রতি জুমা নামাজের পরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে সুরক্ষা কামনায় ছোট-বড় সব বয়সী মুসল্লিদের নিয়ে বিশেষ দোয়া করা হয়। তিনি জানান, করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ২০২০ সালের পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আজহার নামাজ এবং এবছরের ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে বানেশ্বরদী পূর্ব খন্দকারপাড়া হাজীবাড়ী জামে মসজিদেই আদায় করেছেন।