শেরপুরে প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ভ্রাম্যমান গাড়িতে ন্যায্য মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসসহ প্রণীজ পুষ্টি উপাদান বিক্রি কার্যক্রমের ৩০ দিন পূর্ণ হয়েছে।
১২ মে বুধবার ন্যায্য মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসসহ প্রণীজ পুষ্টি উপাদান বিক্রি কার্যক্রম সফলতার সহিত পূর্ণ হয় বলে জানিয়েছেন শেরপুর সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ কান্তি দত্ত ও নকলা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল আহাদ।
তাঁরা জানান, করোনা কালীন সময়ে খামারীরা যেন লোকসানে না পরেন, এদিকে লক্ষ্য রেখে তাদের উৎপাদিত দুধ, ডিম ও মাংসসহ প্রণীজ পুষ্টি উপাদান নায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারেন, তাই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে করে ভোক্তা সাধারনরা যেন হাতের নাগালে তথা সহজেই প্রয়োজনীয় প্রাণীজ পুষ্টি উপদান পায় সেদিকে খেয়াল রেখে এমন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এ কার্যক্রম সারা রমজান মাস ব্যাপী চলমান ছিলো, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন সময় পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে বলে আশাব্যক্ত করেন জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল হাইসহ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল আহাদ ও শেরপুর সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ কান্তি দত্তসহ অন্যান্য উপজেলার প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাগন।
জেলা-উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণি সম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)-এর সহযোগীতায় সারাদেশ ব্যাপী ভ্রাম্যমান দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়। আজ ১২ মে বুধবার এ কার্যক্রমের ৩০তম দিনে পূর্ণ হয়। উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর, শেরপুর সদর, শেরপুরে ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে দুধ, ডিম ও মাংস শহর ও গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে ন্যায্য মূল্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, ৭ এপ্রিল থেকে সারাদেশ ব্যাপী ভ্রাম্যমান গাড়িতে করে দুধ ও মাংসসহ প্রণীজ পুষ্টি উপাদান বিক্রি শুরু করা হয়।
এই কার্যক্রম চালু রাখতে বা থাকতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন জেলা-উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, উদ্যোগতা ও ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা।