শেরপুরের নকলা উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অননুমোদিত সরিষা তেল প্রস্তুতকারী কারখানার এক মালিককে ৫০ হাজার টাকা ও এক বেকারীর মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাছাড়া ওই অননুমোদিত তেল প্রস্তুতকারী কারখানার দুই মিনার মার্কা ছোট-বড় ৩০ বোতল সরিষা তেল জব্দ করা হয়।
১০ মে সোমবার দুপুরের দিকে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)-এর কর্মকর্তা ও পুলিশ বিভাগের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নকলা শহরের পশ্চিম বাজারে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)-এর অনুমোদন ছাড়া বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে সরিষার তেল প্রস্তুত, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে দুই মিনার মার্কা সরিষা তেল প্রস্তুতকারী কারখানার মালিক মো. ওয়ালী উল্লাহকে বিএসটিআই আইন ২০১৮ এর ১৫ লঙ্ঘন করার ৫০ হাজার টাকা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ধারায় শাহীন বেকারীর মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বেকারীর মালিক দোকানে না থাকায় তার স্ত্রী মোছা. জলি বেগম ও দুই মিনার মার্কা সরিষা তেল প্রস্তুতকারী কারখানার মালিক মো. ওয়ালী উল্লাহ নিজে তাদের নির্ধারিত জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন।
এসময় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)-এর ময়মনসিংহ বিভাগীয় অঞ্চলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী শশী কান্ত দাস, ফিল্ড অফিসার প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম, পরিদর্শক জয়দেব রাজবংশীসহ বিএসটিআই-এর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী, নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, সহসভাপতি খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু, থানার এসআই আবু বক্করসহ পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ জানান, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)-এর অনুমোদন ছাড়া বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে সরিষার তেল প্রস্তুত, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে দুই মিনার মার্কা সরিষা তেল প্রস্তুতকারী কারখানার মালিক মো. ওয়ালী উল্লাহর বিষয়ে প্রসিকিউশন দাখিল করেছেন বিএসটিআই-এর ময়মনসিংহ বিভাগীয় অঞ্চলের পরিদর্শক জয়দেব রাজবংশী এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ধারায় শাহীন বেকারীর মালিকের বিষয়ে প্রসিকিউশন দাখিল করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ নিজে।
পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের হুমকি, প্রানহানীকর বা প্রানের হুমকি এমন কোন অননুমোদিত পণ্য বাজারে বিক্রি হতে দেখলে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করতে ভ্রাম্যমান আদালতের পক্ষ থেকে সকলকে বলা হয়। কোথাও কোন প্রকার ভেজাল ও নিষিদ্ধ পন্য বেচা-কেনা করতে দেখা গেলে বা প্রমান পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ জানান। আদালতের নির্বাহী বিচারক কাউছার আহাম্মেদ বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে তথা জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।