৩ মে, বিশ্বে মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় এ দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। এর অংশ হিসেবে ‘তথ্য জনগণের পণ্য’ এই শ্লোগান ধারন করে শেরপুরের নকলা উপজেলায় বিশ্বে মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন উপলক্ষে নকলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বী রাজনের পরিচালনায় এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- নকলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু, যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল-আমিন, দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম রিজন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান সৌরভ, কার্যকরী সদস্য সীমানুর রহমান সুখন, মোশাররফ হোসেন শ্যামল, সদস্য মোফাজ্জল হোসেন, রেজাউল হাসান সাফিত ও সুজন মিয়া প্রমুখ। এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় নকলা প্রেসক্লাবের অন্যান্যরা অংশ গ্রহন করেন।
বক্তারা বলেন, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে আইন কমিশন ও বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ঐতিহ্যগতভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে সুদৃঢ় করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যমের ওপর চাপ ও ভয়ভীতি আমাদের সবাইকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জরিপ এবং মূল্যায়নে দেখা যাচ্ছে সারা বিশ্বেই গণমাধ্যমের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। আর যেসব দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। তারা আরও বলেন, বাকস্বাধীনতার অধিকারের রক্ষাকবচ অবশ্যই যুক্তিসংগত বাধানিষেধ সাপেক্ষেই নাগরিক ও সাংবাদিকেরা ভোগ করে থাকেন, এটা অনস্বীকার্য। কেউ সেই বিধিনিষেধ না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রেস কাউন্সিলকে অধিকতর শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তাও জরুরি। তাই বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে- সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধসহ সব ধরনের কালাকানুন, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বাধা ও হুমকির অবসান।