শেরপুরের নকলা উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা ৬ দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র অসহায় ৬ প্রান্তিক কৃষকের ২ একর ৩১ শতক জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত উপজেলার ছাত্রলীগ কর্মীরা দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছেন।
২৫ এপ্রিল রবিবার বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় গত বছরের ন্যায় চলতি বোরো মৌসুমেও উপজেলার দরিদ্র অসহায় প্রান্তিক কৃষকদের ধান কেটে দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে তাঁরা এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেন। এর পর থেকে তারা প্রতিদিন কোন না কোন এলাকার একজন করে কৃষকের ধান কাটছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী আবু হামযা কনকের নেতৃত্বে উপজেলার অর্ধশত শিক্ষার্থী এলাকার দরিদ্র ও অসহায় বর্গাচাষীদের মুখে হাসি ফুটাতে কোমরে-মাথায় গামছা বেধে কাস্তে হাতে বোরো ধানের মাঠে ধান কেটে যাচ্ছেন।
স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটা কর্মসূচির প্রথম দিন ২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার তারা উপজেলার ২নং নকলা ইউনিয়নের ছতরকোনা এলাকার বিধবা দরিদ্র বর্গাচাষী হালিমার ৪০ শতক জমির ধান, ২৮ এপ্রিল বুধবার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ভোটকান্দি এলাকার দরিদ্র বর্গাচাষী জসিম উদ্দিনের ৬৬ শতক জমির ভূট্টা, ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উপজেলার মমিনাকান্দা এলাকার অসহায় বর্গাচাষী মরজিনার ৩৫ শতক জমির ধান, ৩০ এপ্রিল শুক্রবার পৌরসভার দড়িপাড়া এলাকার দরিদ্র কৃষক হীরা মিয়ার ২৫ শতক জমির ধান, কর্মসূচির পঞ্চম দিনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে ২ নং নকলা ইউনিয়নের সিংগুয়া গ্রামের অসহায় কৃষক রব্বানী মিয়ার ৩৫ শতক জমির ধান এবং কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনে উরফা ইউনিয়নের পিছলাকুড়ি গ্রামের আক্কাস আলীর ৩০ শতক জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।
আবু হামযা কনকের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমের এ মহতী কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনকারীদের মধ্যে- নাজমুল হাসান নাঈম, শাওন হাসান, মজিদ, সৌরভ, রাজু, রকি, রাকিব, তরিকুল, আল আমিন, মেহেররাজ ইমতিয়াজ জিসান, মোশাররফ হোসেন, অভ্র বণিক ও সোহাগের নাম উল্লেখযোগ্য। তারা বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আমরা এরকম অসহায় দরিদ্র কৃষকদের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। উপজেলার দরিদ্র অসহায় কৃষকদের ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে তারা জানান।