শেরপুরের নকলা উপজেলায় ভেজাল খাদ্য সামগ্রী ও অনুমোদনহীন বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী তৈরীর ৪টি নকল কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ ও জামালপুরের র্যাব-১৪ দল।
এ অভিযানে ভেজাল খাদ্য উৎপানকারী কারখানার ৪ মালিককে মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি অনুমোদনহীন অবস্থায় অবৈধভাবে তৈরী করা বিপুল পরিমাণ ভেজাল সেমাই বায়েজাপ্তকৃত ঘোষণা করে তা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
পৌরসভার কায়দা এলাকার মো. নূর মোহাম্মদ, বাজারদি এলাকার আলমগীর হোসেন ও উত্তর কায়দা এলাকার মো. আব্দুল জলিলকে অনুমোদনহীন অবস্থায় অবৈধভাবে সেমাই তৈরী করার অপরাধে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে এবং নকলা শহরের (ইশিবপুর) ফহিম সুজি তৈরী কারখানার মালিক মো. সোহেল রানা নিজামকে ম্যাঙ্গুজোস ফ্রুটিসহ অন্তত ২৬টি পণ্য অবৈধ ভাবে প্রস্তুত করে বাজারজাত করার অপরাধে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে জামালপুর র্যাব-১৪ এর একটি দল, নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু, যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন, সাংবাদিক মুহাম্মদ হযরত আলী, শফিউল আলম লাভলু ও আব্দুল মোত্তালেব সেলিমসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জামালপুর র্যাব-১৪ এর এএসপি এম.এম সবুজ রানা জানান, এ অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল সেমাই তৈরী করে সনামধন্য বনফুল কোম্পানীর সেমাইয়ের মোড়কে ভরে বাজারজাত করার অপরাধে ৩ জনকে প্রতিজনে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাদের তৈরী করা ৪ হাজার প্যাকেট ভেজাল সেমাই পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। তাছাড়া ফাহিম সুজি কারখানায় অবৈধ ভাবে ২৬টি পণ্য প্রস্তুত করে বাজারজাত করার অপরাধে আরও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ জানান, অনুমোদনহীন অবস্থায় অবৈধভাবে সেমাই, জুসসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদন, প্যাকেজিং ও বাজারজাত করণের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় ওই সকল বায়েজাপ্তকৃত অবৈধ ও ব্যবহার অনুপযোগী পণ্য সমূহ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান জানান, আইনত বৈধতা পাওয়ার আগ পর্যন্ত ভেজাল খাদ্য সামগ্রী ও অনুমোদনহীন বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী কারখানায় খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
পবিত্র মাহে রমযান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ ও জামালপুর র্যাব-১৪ এর এএসপি এম.এম সবুজ রানা।