শেরপুরের নকলা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের স্বেচ্ছা কায়িকশ্রমের ফলশ্রুতিতে দরিদ্র ও অসহায় বর্গাচাষীদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠেছে। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত উপজেলার একদল ছাত্রলীগ কর্মীরা দরিদ্র কৃষকরে ধান কাটা ও ভূট্টা তুলার কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। এতে উপকৃত হচ্ছেন দরিদ্র প্রান্তিক কৃষক।
বর্তমানে বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে। তাই সুলভ মূল্যে শ্রমিক মিলছে না। তাছাড়া পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় বেশি মূল্যের শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাতে পারছেন না অনেক দরিদ্র ও অসহায় কৃষকরা। এমতাবস্থায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের কায়িকশ্রমের মাধ্যমে ওইসব কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
নকলা উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী আবু হামযা কনকের নেতৃত্বে ২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে তাঁরা এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। তাদের এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলার ২নং নকলা ইউনিয়নের ছতরকোনা এলাকার বিধবা দরিদ্র বর্গাচাষী হালিমার ৪০ শতক জমির ধান, ২৮ এপ্রিল বুধবার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ভোটকান্দি এলাকার দরিদ্র বর্গাচাষী জসিম উদ্দিনের ৬৬ শতক জমির ভূট্টা ও ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উপজেলার মমিনাকান্দা এলাকার অসহায় বর্গাচাষী মরজিনার ৩৫ শতক জমির ধান কেটে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাঁরা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দের পরামর্শ মোতাবেক তারা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এমন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন বলে জানান ছাত্রলীগ কর্মী আবু হামযা কনক। চলতি বোরো মৌসুম জুড়ে তাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।
স্বেচ্ছায় কায়িকশ্রমের এ মহতী কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনকারীদের মধ্যে- নাজমুল হাসান নাঈম, শাওন হাসান, মজিদ, সৌরভ, রাজু, রকি, রাকিব, তরিকুল, আল আমিন, মেহেররাজ ইমতিয়াজ জিসান, অভ্র বণিক ও সোহাগের নাম উল্লেখযোগ্য। তারা বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আমরা এরকম অসহায় দরিদ্র কৃষকদের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবো। ছাত্ররা অসহায় কৃষকদের বোরো ধান কেটে ও ভূট্টা তুলে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ায় অনেক দরিদ্র কৃষকরা খুব উপকৃত হয়েছেন। তাদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে ওঠেছে। এ যেন তাদের হাতে আকাশ ছোঁয়ার মতো অবস্থা।