শেরপুরের নকলা উপজেলার ৮নং চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ভোটকান্দি এলাকার এক দরিদ্র বর্গাচাষীর ভূট্টা ক্ষেত থেকে ভূট্টা তুলে বাড়িতে পৌঁছে দিলো উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা।
২৮ এপ্রিল বুধবার সকাল ৯ টা থেকে ভূট্টা তুলা শুরু করে দুপুর ১ টা পর্যন্ত দরিদ্র বর্গাচাষী জসিম উদ্দিনের ৬৬ শতক জমির ভূট্টা তুলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ওইসকল ভূট্টা বর্গাচাষী জসিম উদ্দিনের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
নকলা উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী আবু হামযা কনকের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত একদল ছাত্রলীগ কর্মী এ ভূট্টা তুলা কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
স্বেচ্ছাশ্রমে এ ভূট্টা তুলা কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনকারীদের মধ্যে- নাজমুল হাসান নাঈম, শাওন হাসান, মজিদ, সৌরভ, রাজু, রকি, রাকিব, তরিকুল, আল আমিন ও সোহাগের নাম উল্লেখযোগ্য।
দরিদ্র বর্গাচাষী জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে। তাই সুলভ মূল্যে শ্রমিক মিলছিলো না। পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় বেশি মূল্যের শ্রমিক দিয়ে ভূট্টা তুলতে আমি হিমশিম খাচ্ছিলাম। ছাত্ররা আমার ভূট্টা তুলে দেওয়ায় আমি খুব উপকৃত হলাম। তারা আমার আমার ভূট্টা গুলো তুলে নাদিলে ভূট্টাগুরো হয়তো ক্ষেতেই নষ্ট হতো।
আবু হামযা কনক বলেন, দেশজুড়ে ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় ও দেশে করোনা ভাইরাস এর কারণে অনেক গরীব অসহায় হতদরিদ্র কৃষক শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে ও তাদের উৎপাদিত ভূট্টা তুলতে পারছিলে না। তাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দের পরামর্শ মোতাবেক আমরা দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে দিতে ও ভূট্টা তুলে দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। দেশ ও জাতির উন্নয়নে আমরা এরকম অসহায় বর্গাচাষী তথা দরিদ্র কৃষকদের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।