শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নকলায় গৃহহীন জামাল উদ্দিন ২০ বছর ধরে রাত কাটান মসজিদে শেরপুর সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, দ্রুত বিচার দাবী নকলায় টিসিবি পণ্যের ‘স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড’ বিতরণ চলছে কীটনাশক ব্যবহারে সচেতনতার অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কৃষক! নকলায় তারুণ্য উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ পৃথিবীর একমাত্র উড়ন্ত স্তন্যপায়ী প্রাণি বিলুপ্তির পথে নকলায় এসএসসি-৯৫ ব্যাচের মিলনমেলা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শেরপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’র কমিটি গঠন নকলায় শাক সবজি চারার হাটে বেচাকেনার ধুম নকলায় দিন দিন তুলার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, এখন তুলা যেন সাদা সোনা

জনগণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মধ্যদিয়ে ৫ম বর্ষে পদার্পণ করলো শেরপুর হেল্পলাইন

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় | মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ৪১০ বার পঠিত

ফেইসবুক ভিত্তিক গ্রুপ ‘শেরপুর হেল্প লাইন’। অনেকেই শেরপুরের সার্চ ইঞ্জিনও বলে থাকে। যেখানে পোষ্ট দিলেই মিলে নানা সমস্যার সমাধান। ৩০ হাজার সদস্যের এ ফেইসবুক গ্রুপটি এরইমধ্যে শেরপুর অঞ্চলের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে আস্থা ও জনপ্রিয়তার জায়গা করে নিয়েছে।

ফেইসবুক ভিত্তিক এই গ্রুপটি শেরপুরের স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক জনসচেতনতা সৃষ্টি করা, কারও বিপদে সাধ্যের মধ্যে সহায়তা করা, রক্তদান, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোসহ বেশকিছু উন্নয়ন মূলক কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে। ২৭ এপ্রিল এই গ্রুপটি ৫ম বর্ষে পদার্পণ করলো।

কারও কুরিয়ার সার্ভিসের ঠিকানা প্রয়োজন, কারও রক্ত প্রয়োজন, থানার ওসির নাম্বার প্রয়োজন, কারও গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাগজ হারিয়ে গেছে, কারও শখের জিনিস প্রয়োজন, ক্রয় করতে আগ্রহী, কেউ জানতে চান ট্রেনের সময়সূচি, কেউ যদি জানতে চান বাস বা ট্রেনের সময়সূচি কিংবা কারো ঠিকানা, কারও চিকিৎসকের ঠিকানা প্রয়োজন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তির তথ্য প্রয়োজন ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে এ গ্রুপে পোস্ট দিলে সঙ্গে সঙ্গেই মিলে যায় সমাধান। তাছাড়া এডমিনদের সংরক্ষণ করে রাখা শেরপুর জেলার নকলা, শেরপুর সদর, নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন তথ্য বিষয়ক সহযোগিতা এই গ্রুপে পাওয়া যায়।

শেরপুর হেল্পলাইনের উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ বলেন, শেরপুর হেল্পলাইনকে অনুসরণ করে দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলার মানুষও নিজের এলাকার লোকজনকে সহায়তার জন্য একই ধরনের ফেসবুক গ্রুপ চালু করতে পারে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলার জন্য এ ধরনের ফেসবুক গ্রুপ গড়ে উঠলে অনেক মানুষ উপকৃত হবে। মানুষের সমস্যার কোনো অন্ত নেই। কোনো দুর্ঘটনা বা অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে পড়লে অনেক সময় মানুষজন ভেবে পায় না যে তারা কী করবে বা কোথায় গেলে সাহায্য পাবে। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ফেসবুক গ্রুপ থাকলে তারা সহায়তা পেতে পারে। আর এখন প্রায় সবার কাছেই ইন্টারনেট সংযোগসহ মোবাইল ফোন থাকে। এ ধরনের সহযোগিতামূলক ফেসবুক গ্রুপ থাকলে সহজেই মানুষজন তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারবে।

গ্রুপের সিনিয়র অ্যাডমিন প্রনব কুমার দাস জানান, বর্তমানে এই গ্রুপে ১৩ জন অ্যাডমিন, মডারেটর আছেন, যাঁদের বেশির ভাগই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। যেকোনো পোস্ট প্রথমে আমরা পড়ে দেখি। যদি আপত্তিকর না হয়, তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেই পোস্টটি শেরপুর হেল্পলাইনে দেওয়া হয়। এই গ্রুপে সব ধরনের সহযোগিতামূলক পোস্ট অনুমোদন করা হলেও অর্থ সহযোগিতার কোনো পোস্ট দেওয়া হয় না। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বিতর্ক এড়াতে অর্থ সহযোগিতার বিষয়টি আমরা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। এডমিন মারুফ আহমেদ ও মিঠুর সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিদিন শতাধিক পোস্ট জমা পড়লেও পর্যালোচনা করে ৪০-৫০ টি পোষ্ট এপ্রুভ করেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।