শেরপুরের সদর উপজেলায় শাহানা বেগম (৩৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৬ এপ্রিল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সিরচর টানকাছার গ্রামের বাড়ি থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শাহানা উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরচর টানকাছার গ্রামের আয়নাল হকের স্ত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাহানা বেগমের স্বামী আয়নাল হক সৌদি আরবে থাকেন। শাহানা তার তিন ছেলেকে নিয়ে মুন্সিরচর টানকাছার স্বামীর গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। বোরো ধান সেদ্ধ করাকে কেন্দ্র করে শাহানার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে তর্কাতর্কি হয়। এ ছাড়া টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়েও তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। এসব বিষয় নিয়ে শাহানার মনে ক্ষোভ-অভিমান ছিল। এথেকেই শাহানা বেগম আত্ম হত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে এলাকাবসী মনে করছেন।
জানা গেছে, ভোর রাতে শাহানার বড় ছেলে সাঈদ ঘুম থেকে জেগে দেখেন, তাঁর মা ঘরে নেই। এরপর খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্বজনেরা বাড়ির পাশের একটি কাঁঠাল গাছের ডালের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে শাহানাকে ঝুলতে দেখেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন শাহানাকে গাছ থেকে মাটিতে নামানোর পরপরই তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে কাউকে অভিযুক্ত করে কোন প্রকার মামলা করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দুপুরের দিকে শাহানা বেগমের বড় ছেলে সাঈদ বলেন, মামলা করা বা না করার বিষয়টি পরে জানানো হবে, তবে তার মা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তিনি জানান।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত শাহানার গলায় কালো দাগ দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে শাহানা বেগম আত্মহত্যা করেছেন। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।