শেরপুরের নকলা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় শারমিন আক্তার (৪০) নামে এক গৃহিণী নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হামলাকারী প্রতিপক্ষের ৩ জনকে আটক করে থানায় এনেছেন নকলা থানার পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- সুরুজ্জামান, মোজাম্মেল হক ও ফরিদা।
১৬ এপ্রিল শুক্রবার ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের বারারচর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত শারমিন বারারচর এলাকার জহিরুল ইসলাম ওরফে রুবেল মিয়ার স্ত্রী। এবিষয়ে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলেছে বলে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জহিরুল ইসলাম ওরফে রুবেল মিয়ার সাথে পাশ্ববর্তী বাড়ীর বজলু, শুভা ও মিজান গংদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসেছে। বিরোধপূর্ণ এ জমি নিয়ে শেরপুর আদালতে তিন তিনটি মামলা চলমান আছে বলে জানা গেছে। এলাকাবসীরা আরও জানান যে, নিহত শারমিন আক্তার কয়েক বছর ধরে প্যারালাইসিস রোগে ভোগতেছিলেন। তিনি ঠিকমতো দাঁড়িয়ে হাটতে পারতেন না। অতএব তার মৃতুর কারন স্ট্রোক বা অন্য কোন কারনে হতে পার বলে অনেকে ধারনা করছেন।
এলাকাবাসীরা জানান, বিরোধ পূর্ণ জমি নিয়ে প্রায় প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। আদালতের বিচারের অপেক্ষায় থাকার অনুরোধে এলাকাবাসীদের সহায়তায় তাদের ঝগড়া থামিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু আজ শুক্রবার ইফতারের পূর্ণ মুহুর্তে তাদের উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের একজন শারমিন আক্তারকে পিছন থেকে আঘাত করে, এতে গৃহীনী শারমিন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনায় প্রতিপক্ষের সুরুজ্জামান, মোজাম্মেল হক ও ফরিদা নামে ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তবে শারমিন আক্তারের মৃতুর কারন ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে নিশ্চিত করে বলা যাবে বলে ওসি জানান।