১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার একটি স্থানীয় পত্রিকায় ও ১১ এপ্রিল রবিবার ৩ টি অনিবন্ধিত ঠিকানাহীন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত ‘নকলায় ডাক বাংলোর ঝড়েপড়া গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ কেয়ার টেকারের বিরুদ্ধে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে রাজনৈতিক ও পারিবারিক বিরুদের জেরে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে সামাজিক ভাবে হেয় করতে এক প্রকার ঘোষনা দিয়ে এ খবরটি করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যা ঘটেনি, এমন একটি ঘটনা ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদনটি সাজানো হয়েছে, যা প্রতিবেদকের মনগড়া। তাই নকলা ডাক বাংলোর কেয়ার টেকার হিসেবে আমি নূর হোসেন এ সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এক অনলাইন পোর্টালের শিরোনামে বলা হয় যে, ‘অনুমোদনবিহীন ডাক বাংলো’! ‘অনুমোদনবিহীন ডাকবাংলো’ এ কথাটি ও মিথ্যা তথ্যে ভরপুর খবর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত খবরের প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে।
প্রকৃত ঘটনা হল, গত ২০১৯ সালে কালবৈশাখী ঝড়ে নকলা ডাক বাংলোর ভিতরের একটি শিশু গাছ ভেঙ্গে নতুন লাগানো লিচু ও আম বাগানের ওপরে পড়ে যায়। অথচ খবরে বলা হয় একাশি গাছ কাটা হয়েছে, যা প্রতিবেদকের মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত কথা। পড়ে যাওয়া গাছটি বাগান থেকে কেটে সড়ানোর বিষয়ে কেয়ার টেকার নূর হোসেন কয়েকজনকে জানালে তাকে বলা হয়, সরকারি গাছ কাটতে হলে অফিসিয়াল অনেক কাজ থাকে। তাতে গাছটি কেটে সড়ানোর পর্যন্ত সময় অনেক বেশি লাগবে। এতোদিনে শিশু গাছটি নষ্ট হয়ে যাবে। অতএব যে ভাবে আছে, সেভাবেই থাকুক। এর পরে ওই পড়ে থাকা গাছের বিষয়ে আর কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই গাছটি সেই ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পড়ে থেকে অধিকাংশ নষ্ট হয়ে যায়। এবছর ডাক বাংলোর ভিতরের লিচু ও আম বাগানের গাছে ব্যাপক ফুল আসে। এমতাবস্থায় বাগানের ভেড়া দেওয়া জরুরি হয়ে ওঠে। এদিকে ডাক বাংলোর ভিতরে কেয়ার টেকারের থাকার ঘরের চাল ও ভেড়া ভেঙ্গে যাওয়ায় তা ঠিক করতে কিছু কাঠের প্রয়োজন পড়ে, তাই অধিকাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়া ওই শিশু গাছটি উক্ত কাজে ব্যবহারের জন্য কেটে আম ও লিচু বাগানের ওপর থেকে সড়ানো ঠিক হয়নি। যদিও গাছের সবটুকু অংশ জায়গাতেই পড়ে আছে। মিথ্যা, বানোয়াট ও সামাজিক ভাবে হেয় করতে খবরে প্রকাশ করা হয়েছে ভিন্ন ভাবে। তাই নূর হোসেনের বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা তথ্যে ভরপুর এ সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন নূর হোসেনসহ এলাকার অনেকে। সেই সাথে উক্ত মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হয়ে বরং সত্যের পথে থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান নূর হোসেন।
মিথ্যা, বানোয়াট ও সামাজিক ভাবে হেয় করে সংবাদ প্রকাশের কারন জানতে চাইলে নূর হোসেন বলেন, কথিত সাংবাদিক এলাকায় অরাজগতা কায়েম করতে তার ছেলে মমিনুর রশিদকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয় এবং সত্যি সত্যি এলাকায় অরাজগতা কায়েম শুরু করে দেয়। কেউ কিছু বলতে গেলেই তাকে বাপ-বেটার সাংবাদিকতার পরিচয়ে ও থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি হারুন রশিদের বিরুদ্ধে ৯টি গাছ কেটে নেওয়ার পাশাপাশি জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ এনে এলাকার এক নিরীহ দলিল লেখক সুরুজ্জামান নকলা থানায় ও নকলা পৌরসভাসহ কয়েকটি অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুরুজ্জামান এলাকার নিরীহ লোক হওয়ায় তার ৯টি গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে আমি ন্যায় ও সত্য কথা বলায় আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই নাটক সাজানো হয়। নূর হোসেন আরও বলেন, কথিত ওই সাংবাদিকের ভয়ে এলাকাবাসী আজ বাকরুদ্ধ। যে মুখ খোলে তাকেই সাংবাদিকতা ও থানা পুলিশের ভয় দেখানোতে এলাকাবাসী ওই সাংবাদিক পরিবারের কাছে জিম্মী। এলাকার যে কাউকে ওই সাংবাদিক পরিবারের বিষয়ে জিগাইলে সবাই বলেন আমরা তাদের বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না! নূর হোসেনের সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে যে, কথিত সাংবাদিক হারুন রশিদ তার এহেন কৃতকর্মের জন্য ২০১৭ সালের বিজয় দিবসে নকলা থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রায় এক সপ্তাহ কারাভোগ করে জামিনে বেড়িয়ে আসে। তাছাড়া হারুন রশিদের কর্মস্থল কলাপাড়া এম.ইউ দাখিল মাদ্রাসায় তার উপস্থিতি, পাঠদান ও মাদ্রাসার বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন কমতি নেই। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে বলে এলাকাবসীরা জানান। তাই নূর হোসেনের বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা তথ্যে ভরপুর এ সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন নূর হোসেনসহ এলাকার অনেকে। সেই সাথে উক্ত মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হয়ে বরং সত্যের পথে থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান নূর হোসেন।