শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশনা না মানায় যাত্রীবাহী এক ড্রীমল্যান্ড বাসের ড্রাইভারকে ও মাস্ক পরিধান না করায় আরও ১৫ পথচারিকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ধারন ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী না নেওয়ায় শেরপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী এক ড্রীমল্যান্ড বাসের ড্রাইভারকে ২ হাজার টাকা এবং মাস্ক পরিধান না করায় ১৫ পথচারিকে ২ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
পহেলা এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পূর্ব মুহুর্তে নকলা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে এ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় পুলিশ বিভাগের সদস্য ও স্থানীয় সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
আদালত পরিচালনা কালে পথচারী, দোকানি, ব্যবসায়ী ও খরিদদারকে করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। তাছাড়া মাস্ক পরিধানে সকলকে সচেতন করার পাশাপাশি মধ্য বাজারের রাস্তা গুলোতে দোকান বসিয়ে গণ উপদ্রব না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান জানান, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কোভিট-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নিজে মাস্ক পরিধান করে অন্যকে মাস্ক পরিধানে ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচারণা ও এর প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ জনগনকে অবহিত করা সুশিলজনের নৈতিক দায়িত বলে তিনি মনে করেন।