শেরপুর জেলার স্বনামধন্য শেরপুর মডেল গার্লস ডিগ্রী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বিদ্যুৎ ২ মার্চ মঙ্গলবার পূর্বাহ্নে কাজে যোগদান করেছেন। এর আগে ওই কলেজে অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তথ্য মতে জানা গেছে, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বিদ্যুৎ ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ৮ তারিখে শেরপুর মডেল গার্লস ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক হিসেবে প্রথম যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ২০২১ সালের পহেলা মার্চ পর্যন্ত একই পদে কর্মরত ছিলেন।
এমপিও ভুক্ত কলেজের চাকরি বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সসীমা অতিক্রম হওয়ায় অধ্যক্ষ বিধিমোতাবেক অবসরে যাওয়ায় কলেজ পরিচালনা পরিষদ মেধা ও যোগ্যতার আলোকে মাহবুবুর রহমান বিদ্যুৎ-কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব অর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। পরিচালনা পরিষদের লিখিত (রেজুলেশন) সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২ মার্চ মঙ্গলবার পূর্বাহ্নে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বিদ্যুৎ নতুন পদে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন।
প্রশাসনিক দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত করে শেরপুর মডেল গার্লস ডিগ্রী কলেজকে জেলার মধ্যে স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে সদ্য যোগদানকৃত অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ঠ সকলের প্রতি অনুরোধ জানান কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
সদ্য যোগদানকৃত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বিদ্যুৎ এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে সাফল্যের সর্বশিখরে পৌঁছাতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন তিনি।
মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বিদ্যুৎ শেরপুর জেলার নকলা পৌর এলাকার সমভ্রান্ত এক মোসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি মরহুম আব্দুর রহমান ও মরহুম ফিরোজা বেগম দম্পত্তির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান। সনদপত্র অনুযায়ী বিদ্যুৎ ১৯৬১ সালের জুলাই মাসের ২১ তারিখে জন্ম গ্রহন করেন। এহিসেব মতে এমপিও ভুক্ত কলেজের চাকরি বিধি অনুযায়ী তিনি চলতি বছরের জুলাই মাসের ২০ তারিখে বাধ্যতা মূলক অবসর গ্রহন করবেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি আলোকিত নকলা নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুনামের সহিত দীর্ঘ দিন যাবত দায়িত্ব পালন করছেন।
মাহবুবুর রহমান বিদ্যুৎ ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত এবং পারিবারিক জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তাঁরা পূর্ব পুরুষ থেকেই শিক্ষিত ও সামাজিক ভাবে উচ্চ পদমর্যাদা সম্পন্ন পরিবারের সদস্য। তাঁর স্ত্রী সৈয়দা বেগম লবিবা নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বিদ্যুৎ ও সৈয়দা বেগম লবিবা দম্পত্তির একমাত্র মেয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং (সিএসই) -এ এবং একমাত্র ছেলে কুররাতুল আইন নাহিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাডেমিক শিক্ষা শেষ করেছেন।