শেরপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে গোপন ব্যালট পেপারে ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বিতীয়বারের মতো মোঃ মেরাজ উদ্দিন এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে মোঃ শরিফুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে জি.এম আজফার বাবুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মানিক দত্ত নির্বাচিত হয়েছেন। জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা পরামর্শ করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করবেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার ব্যালট পেপারের মাধ্যমে শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদে এবং গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রেসক্লাবের এক সাধারণ সভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ৭ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় ২৭ ফেব্রুয়ারি শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তের আলোকে ২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার ব্যালট পেপারের মাধ্যমে শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শহরের মাধবপুরস্থ উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে।
এ নির্বাচনে ৭৭ জন ভোটারের সবাই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মোঃ মেরাজ উদ্দিন ৪৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম ও একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আদিল মাহমুদ উজ্জল পেয়েছেন ৩২ ভোট। ফলাফল ঘোষণার পরপরই বিজিত প্রার্থী আদিল মাহমুদ উজ্জল বিজয়ী প্রার্থী মেরাজ উদ্দিনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রেসক্লাবের সার্বিক উন্নয়নে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আশ্বাস দেন।
ক্লাবের আজীবন সদস্য, মহান জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের লক্ষে ভোট গ্রহনের শুরু থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া ভোট গ্রহণ, গণনা ও ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, শনিবারে অনুষ্ঠিত প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সহকারী নির্বাচন কমিশনার জি.এম আজফার বাবুল, এম.এ হাকাম হীরা, দেবাশীষ সাহা রায়, সুব্রত কুমার দে ভানু, সাবিহা জামান শাপলা, মাসুদ হাসান বাদল ও মানিক দত্তসহ ৭৭জন ভোটার সাংবাদিক ও জেলা-উপজেলার অনেক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।