বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি)-এর নতুন চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. অমিতাভ সরকার। এর আগে ড. অমিতাভ সরকার (৫৫৯২) বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) পদ থেকে পদোন্নতি দিয়ে বিএডিসি’র চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিত মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ-এর স্বাক্ষরিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগের বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। ড. অমিতাভ সরকার আগামী সপ্তাহে যেকোন দিন বিএডিসি’র চেয়ারম্যান পদে যোগদান করবেন বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে, ড. অমিতাভ সরকার গত বছরের ৯ জুন বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে যুগ্ম-সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগে কর্মরত থাকার আগে তিনি উপ-সচিব হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ছিলেন। ড. অমিতাভ সরকার পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে দীর্ঘ দিন সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে ঠাকুরগাঁও ও ঢাকা জেলায় এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি জীবনে তিনি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুলু উপজেলায়, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা উপজেলায় এবং কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায় সুনামের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সহকারী কমিশনার ও ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সাতক্ষীরা কালেক্টরেট এবং সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কুষ্টিয়া কলেক্টরেটে এবং উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খুলনার ফুলতলা উপজেলায় এবং যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নড়াইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবেও কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। ড. অমিতাভ সরকার ১০ম বিসিএস পরীক্ষায় বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯১ সালের ১১ ডিসেম্বর খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
অমিতাভ সরকার ১৯৬৩ সালে ১৪ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ঘিওর ডি.এন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৮১ সালে ঘিওর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে বিএসসি-এজি (সম্মান) ডিগ্রি; পরবর্তীকালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।