বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে ঝরে যাওয়া বর্ষীয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের প্রথম যানাজা নামাজ ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার জোহর নামাজের পরে নারিন্দা পীর সাহেব জামে মসজিদ মাঠে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মুসলিম ধর্মপ্রান মানুষের ঢল নামে।
যানাজা নামাজ শেষে এ অভিনেতার মরদেহ সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। তারপর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে জুরাইন কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মরহুমের ভাই হাজী সোলায়মান জামান রতন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এটিএম শামসুজ্জামান বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। অবশেষে আজ শনিবার সকালে সূত্রাপুরে তার নিজস্ব বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, এটিএম শামসুজ্জামানের অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়ায় ১৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে তিনি হাসপাতালে থাকতে না চাওয়ায় তাকে শুক্রবার বিকেলে নিজ বাসভবনে আনা হয়।
এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একটি নক্ষত্র, অত্যন্ত মেধাবী, প্রাণবন্ত, বিনয়ী, সহজ-সরল, সাদামাটা মানুষ ছিলেন সবার প্রিয় এটিএম শামসুজ্জামান। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
আরেক বর্ষীয়ান অভিনেতা মাসুদ আলী খানের সঙ্গে জুটি করে ইত্যাদির জন্য নির্মিত ছোট্ট একটি নাট্যাংশে অভিনয়ই ছিলো এটিএম শামসুজ্জামানের জীবনের শেষ অভিনয়; ইত্যাদি অনুষ্ঠানের নির্মাতা হানিফ সংকেত ফেইসবুকে তাঁর স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন।
এটিএম শামসুজ্জামান অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে প্রথম প্রবেশ করেন ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণিথ সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয়েন মাধ্যমে দেশব্সাীর কাছে আলোচনার শীর্ষে ওঠে আসেন তিনি। বর্ষীয়ান এ অভিনেতা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের কাছে চীরদিন নন্দিত হয়ে থাকবেন বলে অনেকে মনে করছেন।
এ অভিনেতার মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক জগতের সাথে জড়িতরাসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেনীর মানুষ আলাদা ভাবে শোক প্রকাশের পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারে প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।