নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আদিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে আব্দুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন। এঘটনায় আরও অথর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধায় উপাজেলার চাপরাশিহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থানরত মুজাক্কিরের বড় ভাই প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষ চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল মুজাক্কির। তখন সেখানে অস্ত্রহাতে সন্ত্রাসীরা মহড়া দিচ্ছিল। সেই ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। অস্ত্রধারিরা বিষয়টি টের পেয়ে মুজাক্কিরের ওপর চড়াও হয়। তখন নিজেকে রক্ষা করতে বাঁধা দিলে খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। এনিয়ে সারাদেশ ব্যাপী সাংবাদিকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে প্রস্তুতি নেন আওয়ামী লীগের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। এসময় সাবেক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বাজারের দলীয় কার্যালয়ে দিকে যায়। হঠাৎ করে ওই মিছিলে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থক জামাল উদ্দিন লিটনসহ কিছু লোক বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তখন ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির ভিডিও ধারন করার পরে তাকে গুলি করা হয়।
আহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে। তাছাড়া ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়েছে।