শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে পরিবেশ বান্ধব নিরাপদ বাহনে যাতায়াত শুরু করার লক্ষে ১০০ ছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে একটি করে বাই-সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম’র একান্ত প্রচেষ্ঠায় আবুল খায়ের গ্রুপের গরু মার্কা ঢেউটিনের সৌজন্যে এসকল বাই-সাইকেল বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার উপজেলার ভায়াডাঙ্গা ইউনিয়নের হাঁসধরা এলাকায় স্থাপিত হালিমা আহ্সান টেকনিক্যাল (বিএম) ইনষ্টিটিউটের মাঠে ১০০ মেয়ে শিক্ষার্থীর মাঝে নিরাপদ যাতায়াতের বাহন হিসেবে বাই-সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হালিমা আহ্সান টেকনিক্যাল (বিএম) ইনষ্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবসর প্রাপ্ত সচিব (এম.এ.ইউ) রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) বেগম লায়লা জেসমিন, শেরপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনার কলি মাহবুব, শেরপুর পুলিশ হাসান নাহিদ চৌধুরী, শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিলুফা আক্তার।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুক্তাদিরুল আহম্মেদ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কর কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুর আহসান, শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকলেছুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জিয়াউল হক, শ্রীবরদী থানার ওসি (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মোশাররফ হোসেন, স্থানীয় রানীশিমুল ইউপির চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানাসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)-এর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, হালিমা আহ্সান টেকনিক্যাল (বিএম) ইনষ্টিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ বান্ধব নিরাপদ যাতায়াতের বাহন বাই-সাইকেল পেয়ে খুশি হালিমা আহ্সান টেকনিক্যাল (বিএম) ইনষ্টিটিউটের শত মেয়ে শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে অনেকে জানায়, আজ থেকে তারা সকলেই নিরাপদ যাতায়াতের বাহন বাই-সাইকেলযোগে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে পারবে। এতে করে একদিকে যেমন টাকা বাঁচবে, অন্যদিকে বাঁচবে সময়; এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় শিক্ষানুরাগী মহল।