শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন নৌকা প্রতীকে ২৯,৬৩৬ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো বিপুল ভোটের ব্যবধানে বেসরকারি ভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এ.বি.এম মামুনুর রশিদ পলাশ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৮,৭৯৬ ভোট। এ হিসেব মতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিএনপির মনোনিত প্রার্থীর চেয়ে ২০,৮৪০ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারি ভাবে শেরপুর পৌসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন।
তাছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য ৫ প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৭,২৫৫ ভোট, মো. আরিফ রেজা চামচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩,৫২০ ভোট, আনোয়ার সাদাত সুইট মোবাইল প্রতীকে পেয়েছেন ৫২৭ ভোট, প্রকৌশলী আতাউর রহমান নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩২২ ভোট, আল আমিন ক্যামেরা প্রতীকে ১৭৬ ভোট পেয়েছেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাত ৮ টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদারের বেসরকারি ভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী এতথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, ৩৫ টি কেন্দ্রর মধ্যে একটি কেন্দ্রের একটি ইভিএম মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় এ কেন্দ্রের ফলাফল এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ১,৬১৮ জন। রাজধানী ঢাকা থেকে ইভিএম মেশিনের টেকনেশিয়ান টিম আসার পর সম্পূর্ণ তথ্য জানানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার।
এ পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে মোট ৩৫ টি ভোট কেন্দ্রের আওতায় মোট ভোটার সংখ্যা ৭৫,৭৩৮ জন; এর মধ্যে ৫০,২৩২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ নির্বাচনে ৭ মেয়র প্রার্থী, ১৮ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৪৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী এ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনী সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে ৩ টিম র্যাব, ৩ প্লাটুন বিজিবি, পর্যাপ্ত পুলিশ, ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন।