সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন

করোনার প্রতিষেধক টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হওয়ায় নকলায় টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় | বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৩৯৭ বার পঠিত

করোনার প্রতিষেধক টিকা গ্রহণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হওয়ায় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় এ টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১০ টায় মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশব্যাপী একযুগে করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর প্রতিষেধক টিকাদান কেন্দ্র উদ্বোধনের পরে প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়। সারা দেশের ন্যায় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলাতেও সুষ্ঠ ভাবে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর টিকা নেওয়ার পরে কারও শরীরে ক্ষতিকর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় প্রতিদিন দ্বিগুণ হারে বাড়ছে টিকা নেওয়ার আগ্রহীদের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন ও টিকা গ্রহণকারী সংখ্যা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান অফিসার সৈয়দা বেগম লবিবা জানান, কোভিট-১৯ এর প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিন ৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশনকৃত ১০ জনকে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রয়োগ করা হয়। দ্বিতীয় দিন ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার তা ৩ গুণ বেড়ে টিকা গ্রহন করেন ৩০ জন। তৃতীয় দিন ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার টিকা গ্রহনের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ জনে এবং চতুর্থ দিনে ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার দ্বিতীয় দিনের তুলনায় ৩ গুণ বেড়ে ৯০ জন কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক টিকা গ্রহন করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, ২৫৩ টি অ্যাম্পুলের মাধ্যমে উপজেলার মোট ২ হাজার ৫৩০ জনকে কোভিট-১৯ এর প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হবে। বছর ব্যাপী এ কার্যক্রম অফিস চলাকালীন প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পযর্ন্ত চলবে। নকলা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ৯টি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি টিকাদান কেন্দ্র থেকে এসকল টিকা দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে ৬ সদস্যের একটি দল কাজ করছেন। এর মধ্যে ২ জন টিকাদান কর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে ভ্যাক্সিন পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, মিডিয়াকর্মীসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। জেলা সদরে ৮টি ভ্যাক্সিন টিম ও জেলার অন্য ৪টি উপজেলায় ২টি করে ভ্যাক্সিন টিম কাজ করবে। তবে আপাতত অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া কাউকে এই টিকা দেওয়া হচ্ছেনা বা দেওয়া হবেনা বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, এ টিকাদান কর্মসূচি সফলতার সহিত সম্পন্ন করতে উপজেলার ৪৮ জন স্বেচ্ছাসেবী কর্মী ও ২৪ জন টীকাদান কর্মীকে এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা বুথ, বেড, অবজারভেশন রুমসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা এশিয়ান টিভি ও দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টুসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা দান ও গ্রহন শুরু হয়ে আজ ৫ম দিন চলছে। এখন পর্যন্ত কোন এলাকার কারও কাছে কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। তাই নিরাপদ মনে হওয়ায় তারা আজকে প্রথম ডোজের টিকা নিতে এসেছেন।

শেরপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১,৬০০ জন আগ্রহী টিকা নেওয়ার জন্য অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। এদেরমধ্যে আজ রবিবার ২০০ জনকে টিকা দেয়া হবে। প্রথম ধাপে যেসকল ভ্যাক্সিন এসেছে, চলতি বছরের ১৬ এপ্রিলে সেসকল ভ্যাক্সিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে। শেরপুর জেলার জন্য ৩৬ হাজার ডোজ করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর ভ্যাক্সিন এসেছে। যদিও জেলায় প্রায় ৪০ হাজার ডোজের চাহিদা রয়েছে। এরইমধ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে ডাক্তার, ৩৬ জন নার্স ও ৭২ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা হয়েছে।

শেরপুর সদর উপজেলাসহ নকলা, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে একযোগে কোভিট-১৯ ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রেই কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক টিকা গ্রহনের হার দিন দিন বাড়ছে বলে সরেজমিনে দেখা গেছে এবং সংশ্লিষ্ঠ সূত্রেও এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।