শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় পানিতে ডুবে মানিক মিয়া (৫) নামে এক শিশু ও উসমান গনি (৪৫) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। নিহত মানিক মিয়া নকলা পৌরসভার দক্ষিণ কায়দা গ্রামের রিক্সা চালক আসাদুল হকের একমাত্র সন্তান এবং উসমান গণি উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চর বাছুরআলগী গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে। ৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা দুইটি ঘটে।
নিহত মানিকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে মানিক মিয়ার বাবা রিক্সা নিয়ে নকলা বাজারে যায় এবং মা বাড়ির আঙ্গিনায় গরুর খড় কাটার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সুযোগে বাড়ির অন্যাদের অজান্তে ঘরের পাশের টিউবওয়েলের পানির গর্তে মানিক পড়ে যায়। মানিকের মা খড় কাটা শেষ করে বাড়িতে প্রবেশ করে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। প্রায় ঘন্টা খানেক পরে বাড়ির অন্য এক শিশু মানিককে ওই গর্তের পানিত ভাসতে দেখে। পরে তার ডাক চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য লোকজন মানিককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। একমাত্র সন্তানের অকাল মৃত্যুতে নিহতের পরিবারে বইছে শোকের মাতম। স্থানীয় ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাব্বিনূর রহমান জুয়েল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চর বাছুরআলগী গ্রামের উসমান গণি তার ছেলে সজল মিয়াকে সাথে নিয়ে ব্রহ্মপুত্রের শাখা দশআনি নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন। নিহত উসমান গণি পেশায় একজন জেলে ও ৩ সন্তানের জনক ছিলেন। জেলে নিহতের ছেলে সজল মিয়া জানান, সকাল ১১ টার দিকে তার বাবা ও সে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যায়। কোন এক সময় তার বাবা উসমান গণি মাছ ধরার জন্য পনিতে ডুব দিয়ে উঠে আসে। এর কিছুক্ষণ পরে মাছ ধরতে পুনরায় ডুব দিয়ে পানির ওপরে উঠে আসতে দেরি করায় সজল মিয়া ডাক চিৎকার শুরু করেন। পরে পাশের জেলেরা এসে পনির নিচ থেকে উসমান গণিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিন্টু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকছেদ আলী মাস্টার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।