শেরপুরে নীল কাগজে সাক্ষর নিয়ে ভুয়া বিয়ে দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নাঈম হাসান রুবেল (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩১ জানুয়ারি রবিবার রাতে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের গোলকামারিয়া এলাকাস্থ নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষক রুবেল স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী রুহুল আমিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার ধলা ইউনিয়নের বাসিন্দা এক তরুণীকে (১৯) পার্শ্ববতী এলাকার নাঈম হাসান রুবেল দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের ১২ আগস্ট ওই তরুণীকে ধলা ইউনিয়নের কাজী আব্বাছ উদ্দিন আহমেদের অফিসে নিয়ে একটি নীল কাগজে সাক্ষর নেয় এবং নোটারী পাবলিক অফিসে গিয়ে এফিডেভিট করে বিয়ের ঘোষণা দেয়। পরে ওই তরুণীকে রুবেল তার নিজের বাসায় নিয়ে যায় এবং প্রায় ১৮ দিন বাসায় রেখে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে শারীরিক মেলামেশা করে।
কোন পর্যায়ে রুবেল ওই তরুণীকে গালি-গালাজ করে মেয়ের বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং সে ওই তরুণীকে বিয়ে করেনি বলে সাফ সাফ জানিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় ওই তরুণীর বাবা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ের কাবিননামা চাইলে কাজী আব্বাছ উদ্দিন বিয়ে পড়াননি বলে অস্বীকার করেন। পরে ওই তরুণী বাদী হয়ে গত ২৪ জানুয়ারি শেরপুরের আদালতে নাঈম হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার মধ্যরাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাঈমকে গ্রেফতার করে।
এবিষয়ে নীল কাগজে সাক্ষর নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে ধলা ইউনিয়নের কাজী আব্বাছ উদ্দিন বলেন, তারা আমার কাছে এসেছিল, তবে আমি ওই বিয়ে পড়াইনি। নোটারী পাবলিক অফিসে তারা কিভাবে বিয়ের ঘোষণা দিয়েছে সেটা তাদের বিষয়।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রুবেল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে সোমবার দুপুরের দিকে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।