শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন বাজারে এক অগ্নিকাণ্ডে গুদামসহ ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব মালমাল পুড়ে গেছে। পহেলা ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর ২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে আগুনের সূত্রপাতের কারন এখনও জানা সম্ভব হয়নি। পুুড়ে যাওয়া গুদাম ও দোকান মলিকদের আলাদা আলাদা দাবী অনুযায়ী এ অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পদ পুড়ে ছাই হয়েগেছে।
পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হলো- আনোয়ার কবিরের প্লাষ্টিকের শো-রুম, শামীম ফরাজীর মুদির দোকান ও একটি গুদাম, মনিলালের মুদির দোকান ও একটি গুদাম এবং ছামিদুলের একটি মুদির দোকান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য মতে জানা গেছে, দুপুর ২টার দিকে প্রথমে আনোয়ার কবিরের প্লাষ্টিকের দোকান থেকে আগুনের শিখা বের হতে দেখাযায়। এরপরে মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রনের আগেই ৪টি দোকানের সব মালামাল পুড়ে যায়।
এ অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য ও দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্লাষ্টিকের বড় শো-রুমের মালিক আনোয়ারের প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মালামাল, শামীম ফরাজীর মুদির দোকান ও গুদামের প্রায় ২৭ লক্ষ টাকার মালামাল, মনিলালের মুদির দোকান ও গুদামের কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল এবং ছামিদুলের মুদির দোকানের ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে আপাতত কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো সম্ভব বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ গুদাম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিবারের মাঝে মোট ২৩ হাজার টাকা নগদ সহায়তা প্রদান করেন। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকীসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দরাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।