বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:২৪ অপরাহ্ন

শেরপুরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা আ’লীগের ২ নেতা বহিষ্কার!

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় | রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৩৩০ বার পঠিত

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে দলীয় পদ ও সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্ককৃতরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফ রেজা।

দলীয় পদ ও সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া এ দুইজন আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকীয়মন্ডলীর পদে থাকা চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়।

৩১ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি ও সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল-এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ নিশ্চিত করা হয়।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করে শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাদেরকে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ এবং প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় যে, বহিস্কৃত এ দুজন দলীয় পদ ব্যবহার করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি শনিবার রাতে শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার দলের বিপক্ষে প্রার্থী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলন করেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান।

আওয়ামী লীগের দলীয় পদ ও সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করার বিষয়ে কথিত বহিষ্ককৃত হওয়া জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফ রেজা বলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকীয়মন্ডলীর গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে আমাদেরকে বহিষ্কার দেখনো সম্পূর্ণ অবৈধ। আওয়ামী লীগের কোন নেতাকে সরাসরি বহিষ্কার করা জেলা-উপজেলা কমিটির কর্মপরিধির মধ্যে পড়েনা, দল থেকে কোন নেতাকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার জেলা কমিটির নেই। কোন নেতা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেও তাকে বহিষ্কার করার লক্ষে জেলা কমিটির সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত পেলে, তবে শুধু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির বরাবরে প্রস্তাব পাঠাতে পারেন। কিন্তু এখানে তা-না করে সরাসরি বহিষ্কার দেখানো হয়েছে। যা আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ হয়েছে বলে তারা জানান। তারা আরও জানান, এর আগে শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী বাছাইয়ের নামে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করা হয়েছিলো, যা কেন্দ্র থেকে যাচাই বাছাই শেষে মেনে নেওয়া হয়নি। তদ্রুপ তাদেরকে কথিত বহিষ্কারের বিষয়টিও কেন্দ্র থেকে নাকচ করে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সুনাম রক্ষায় ও অবৈধভাবে প্রদর্শিত ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে তারা আশাব্যক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।