শেরপুর জেলার নকলায় পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার মাঝি তথা আওয়ামী লীগের মনোনিত ও নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে তাদের কাছে ভোট ও দোয়া কামনায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে নকলা নিউ মার্কেটে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা হাতে লিফলেট নিয়ে ব্যবসায়ী ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি সকলের কাছে দোয়া কামনা করছেন। ভোটারদের কাছে তাদের ভোট চাওয়া দেখে মনে হয়, এ যেন আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকার এক মাঝিকে বিজয়ী করতে উপজেলার সকল নৌকার মাঝিরা জীবন মরন যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন।
নকলা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র মো. হাফিজুর রহমান লিটনের পক্ষে এ যুদ্ধে উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের যেসকল নৌকার মাঝিরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তাদের মধ্যে- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চরঅষ্টধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান সুজা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উরফা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক হীরা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত, সদস্য ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকী, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ মিল্লাত, গনপদ্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শামছুর রহমান আবুল, টালকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান বদ্দির নাম উল্লেখযোগ্য। এছাড়া চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক মিয়াসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ তাদের সাথে নির্বাচনী প্রচার কাজে অংশ নিয়েছিলেন।
ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার মাঝি তথা আওয়ামী লীগের মনোনিত ও নির্বাচিত চেয়ারম্যনদের মধ্যে অনেকে বলেন- আমরা পৌরসভার ভোটার নাহলেও, আমরা সকলেই (৯ চেয়ারম্যান) গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত ও নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছি। তাঁরা আরও জানান, দেশ ও জাতির উন্নয়নের প্রতীক নৌকা, অতএব নৌকা প্রতীকের বিজয়ের লক্ষে নিরলস কাজ করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আর এ দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে বলে অনেকে দাবী করেন।