শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ২ জন মেয়র, ৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ২ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরসহ মোট ৮ জনের প্রার্থীতা প্রাথমিক ভাবে বাতিল করা হয়েছে।
২ মেয়র পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ত্রুটিজনিত কারণে মো. আল আমিন ও তথ্য গোপনের কারণে মো. আরিফ রেজার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষনা করা হয়। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে সংরক্ষিত-২ (৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড)-এর প্রার্থী নিশি সরকার ও সংরক্ষিত-৩ (৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড)-এর প্রার্থী রিনা খাতুনের মনোনয়ন অবৈধ বলে গন্য হয়। আর সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২নং ওয়ার্ডের মো. আমিনুল হক, ৩নং ওয়ার্ডের মো. শাহজাহান আলী, ৪নং ওয়ার্ডে মো. বাদশা মিয়া ও ৭নং ওয়ার্ডে মো. আইয়ুব আলীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষনা করা হয়।
ফলে ৬ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গন্য হওয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার যোগ্যতা অর্জন করলেন। মেয়র পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন (আওয়ামী লীগ), এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ (বিএনপি) এডভোকেট আব্দুল মান্নান (বিএনপির বিদ্রোহী), প্রকৌশলী আতাউর রহমান (স¦তন্ত্র) ও আনোয়ার সাদাত সুইট (স¦তন্ত্র)। উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে ৮ জন মেয়র প্রার্থী, ৫৭ জন সাধারন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১৮ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা করেছিলেন।
১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মনিরুল আলম ভূঁইয়াসহ সংশ্লিষ্ট পদের প্রার্থী, প্রতিনিধি, প্রার্থীদের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীগন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শেরপুর পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৭৫ হাজার ৭৩৮ জন। ২৭ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারনা শুরু হয়ে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ৯টি ওয়ার্ডের ৩৫টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে এই প্রথম ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মধ্যমে ভোট গ্রহন করা হবে।